Benefits of Ghee: ত্বক থেকে চুলের উজ্জ্বলতা, এমনকি অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতেও ঘি-এর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ…
ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যেহেতু এটি অপরিহার্য চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন ডি, কে, ই এবং এ দিয়ে ভরা থাকে, তাই এই পুষ্টিগুলি আমাদের শরীরের কার্যকারিতা বাড়ায়।
Follow Us
ঘি ভারতীয় রান্নার অন্যতম প্রধান উপাদান। নিরামিষ খাবারে ঘিয়ের ব্যবহার অপরিহার্য। স্বাস্থ্যকর, চর্বিমুক্ত খাবারের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধির পাশপাশি ঘি স্বাদের দিকি থেকেও তার প্রভাব হারায়নি। খাদ্যপ্রেমীদের একটা অংশ তো ঘি ছাড়া বলতে গেলে অচল।
প্রকৃতপক্ষে, সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে যে পরিমিতভাবে নিয়মিত ঘি খাওয়া মানুষ অনেক স্বাস্থ্যকর সুবিধা পেয়েছে। অনেক পুষ্টিবিদ দাবি করেন যে পরিশোধিত তেলের জায়গায় ঘি ব্যবহার করা সম্ভবত আধুনিক রান্নার অন্যতম স্বাস্থ্যকর দিক। ঘি বা মাখন সৌন্দর্য এবং চুলের স্বাস্থ্যের জন্যও একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ঘি-এর মধ্যে ভিটামিন এ, ডি, কে, ই-এর সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে জলে দ্রবণীয় ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। আধুনিক স্বাস্থ্য সচেতন প্রজন্মও তাই এই প্রাচীন পণ্যটিকে ওজন কমানোর সাহায্যকারী উপাদান হিসেবে দেখতে শুরু করেছে।
ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। যেহেতু এটি অপরিহার্য চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন ডি, কে, ই এবং এ দিয়ে ভরা থাকে, তাই এই পুষ্টিগুলি আমাদের শরীরের কার্যকারিতা বাড়ায়। যার মধ্যে অনাক্রম্যতাও রয়েছে। অন্যান্য খাবার থেকে চর্বি-দ্রবণীয় খনিজ এবং ভিটামিন শোষণে শরীরকে সাহায্য করার পাশপাশি আমাদের ইমিউনিটিকে পুষ্টি জোগাতেও ঘি-এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া, উৎকৃষ্ট দেশি ঘি-এর মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা ভাইরাস, ফ্লু, কাশি, ঠান্ডা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ঘি বুট্রিক অ্যাসিডের উৎস। এটি একটি শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড। যখন অন্ত্রের স্বাস্থ্য কোনওভাবে বিঘ্নিত হয় তখন এই অ্যাসিড প্রচুর সাহায্য করে। কোলন তাদের শক্তির উৎস হিসেবে বুট্রিক অ্যাসিড ব্যবহার করে।
ঘি চর্বি-দ্রবণীয় ভিটামিন নিয়ে গঠিত, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের মাত্রা বজায় রাখতেও ঘি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ঘি -তে থাকা স্বাস্থ্যকর স্যাচুরেটেড ফ্যাটগুলি মস্তিস্কের কার্যকারিতা বাড়ায়। এটি কোষ আর টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে। সকালে খালি পেটে ঘি খাওয়া কোষের জন্য খুবই ভাল। এতে আমাদের শরীরের নিরাময় প্রক্রিয়া উন্নত হয়। ঘির অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় এর প্রদাহ বিরোধী বৈশিষ্ট্য ত্বককে মসৃণ করে, পিগমেন্টেশন কমায় এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। এটি একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। যা আপনার ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে।