সাবেকি রান্না মানেই মোচার ঘণ্টের কথা বাঙালির মনে পড়বেই। দুর্গা পুজোর সময় বা যে কোনও বিশেষ অনুষ্ঠানে বাঙালির পাতে এই নিরামিষ পদটি থাকা চাই। মা-ঠাকুমাদের সময় থেকেই এই রান্নার প্রতি আলাদা দুর্বলতা রয়েছে ভোজনরসিক বাঙালির। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কলকাতার অনেক জনপ্রিয় হোটেলে বাঙালি রেসিপিতে এই মোচার ঘণ্টের নিরামিষ পদটি নতুন ভাবে পরিবেশন করার চেষ্টা করে চলছে। ট্র্যাডিশনাল রান্নার স্বাদ ও গুণের কথা অনেক। তবে বাঙালি যেখানেই থাকুক না কেন, মোচার এই সুস্বাদু পদটি কখনও হাতছাড়া করার পাত্র নয়। হোটেল বা বাড়ি, দেশ বা বিদেশ, যেখানেই থাকুন কেন, মোচার ঘণ্ট মাস্ট। তবে এই স্বাদে একটু ট্যুইস্ট আনতে বাড়িতেই খুব সহজে বানান গোবিন্দভোগ ও মোচার ঘণ্ট। কীভাবে বানাবেন, কী কী লাগবে, তা দেখে নিন একনজরে…
উপকরণ
১ টা মোচা
১ কাপ গোবিন্দভোগ চাল
১টা আলু
১ চা চামচ আদা বাটা
১ চা চামচ জিরে গুঁড়ো
১ চা চামচ কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো
স্বাদ মত নুন
১ চা চামচ চিনি
১ চা চামচ গরম মসলা
১ চা চামচ গোটা জিরে
৪চা চামচ সাদা তেল
৩ চা চামচ ঘি
২ টো গোটা শুকনোলংকা
২ টো কাঁচা লঙ্কা
পদ্ধতি
প্রথমে মোচা টা ছাড়িয়ে, ভেতরের ফুল গুলো থেকে মাঝের শিষ টা ফেলে, ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ধুয়ে রাখুন। এরপরে মোচার টুকরো গুলো হলুদের গুঁড়ো এবং জল মিশিয়ে কুকারে সেদ্ধ করে নিয়ে,, তারপরে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে জল ঝরিয়ে রাখুন।
এবারে আলু টা ছোট ছোট টুকরো করে কেটে ধুয়ে রাখুন। গোবিন্দভোগ চাল ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন।
এবারে একটি নন্ স্টিক কড়া গ্যাসে বসিয়ে কড়া গরম হলে তাতে তেল দিয়ে শুকনো লংকা ও গোটা জিরে ফোড়ন দিয়ে তাতে আলুর টুকরো গুলো দিয়ে একটু নাড়িয়ে ভেজে নিন।
এবারে কড়াতে আদা বাটা টা দিয়ে নাড়িয়ে নিন এবং এতে জিরে গুঁড়ো,, কাশ্মীরি লংকাগুড়ো,, নুন,, চিনি ও গরম মশলা দিয়ে,,সেদ্ধ মোচা এবং গোবিন্দভোগ চাল দিয়ে ভালো ভাবে মিশিয়ে নাড়িয়ে কষিয়ে নিন। এরপরে কিসমিস ও কাঁচালংকা দুটো চিরে নিয়ে মোচার সাথে মিশিয়ে একটু জল মিশিয়ে দিন এবং ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিন।
কিছুক্ষন পরে ঢাকা খুলে দেখা গেল জল শুকিয়ে,, চাল সেদ্ধ হয়ে গিয়ে মাখা মাখা হয়ে ঘন্ট তৈরি হয়ে গেল। সবশেষে ঘি ছড়িয়ে গোবিন্দভোগ মোচা ঘন্ট পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: Recipe: বাজারে আকাশছোঁয়া দাম! তবুও স্বাস্থ্যকর হিসেবে তৈরি করুন ডাল-সজনের এই রেসিপি