চুল ঝরে যাওয়া (Hair Fall), চুল পাতলা হয়ে যাওয়া এবং চুলের সঠিক গ্রোথ (Hair Growth) হচ্ছে না- এমন অভিযোগ করে থাকেন সকলেই। যদিও মেয়েদের তরফে এই জাতীয় অভিযোগ একটু বেশিই আসে। চুল ঝরে যাওয়ার একাধিক কারণ থাকে। ঋতু পরিবর্তনের সময় যেমন চুল ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা তেমনই ডিপ্রেশনের মধ্যে দিয়ে গেলেও এই একই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এছাড়াও যাঁরা নিয়মিতভাবে হরমেনজনিত কোনও সমস্যায় ভুগছেন, নিয়মিত বিভিন্ন ওষুধ খেতে হয়, কিডনি বা লিভারের সমস্যা রয়েছে বা হরমোনজনিত কোনও সমস্যা থাকলেও কিন্তু চুল তাড়াতাড়ি ঝরে যায়। আর তাই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে নিজেদেরই সচেতন হতে হবে। অনেক সময় আমাদের খাদ্যাভ্যাসও কিন্তু দায়ী থাকে এই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যার জন্য। শরীর যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি না পায় তাহলে চুলের গ্রোথও ঠিকমতো হয় না। ফাস্টফুড, তেলমশলাজাতীয় খাবার বেশি খেলে হজমের সমস্যা বাড়ে, সেখান থেকেও কিন্তু চুল ঝরে যাওয়ার মত সমস্যা হতেই পারে।
সমস্যাটা হয় তখনই যখন যে অনুপাতে চুল ঝরে তার থেকে কম চুল গজালে। একজন মানুষের দিনে ১০০ টা পর্যন্ত চুল ঝরে যেতে পারে। তবে নাগাড়ে চুল ঝরতে থাকলে এক জন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চুল গজানো থেকে ঝরে যাবার মধ্যে তিনটি পর্যায়ে আছে। অ্যানাজেন, ক্যাটাজেন ও টেলোজেন। চুল গজানোর পর বেড়ে ওঠে অ্যানাজেন ফেজে।
ক্যাটাজেন অবস্থায় চুল আর বাড়ে না। টেলোজেন দশায় চুল ঝরে যায়। আসলে প্রত্যেক কোষের মত চুলেরও নির্দিষ্ট আয়ু আছে। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিনই কিছু পুরনো চুল ঝরে যায়, একই সঙ্গে নতুন চুল গজায়। কিন্তু মাঝে মাঝে আঁচড়ালেই রাশি রাশি চুল উঠে আসে, শ্যাম্পু করলেও তাই। অবশ্য এই সমস্যা শুধু আমার আপনাদের একার নয়, পৃথিবীর প্রতি চার জনের এক জন চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। বিভিন্ন কসমেটিক্সের ব্যবহার করে সমস্যা আরও বাড়িয়েও তোলেন। কিছু বড় অসুখের পর হু হু করে চুল পড়ে যায়।
চুলের সমস্যায় বাজারচলতি নানা প্রোডাক্টই ব্যবহার করলেন। এবার বাড়িতেই বানিয়ে নিন সুগার ফ্রি এই লাড্ডু। দিদিমা-ঠাকুমাদের হেঁশেলে এই লাড্ডুর কিন্তু বেশ চল ছিল। এই লাড্ডুর মধ্যে রয়েছে বায়োটিন, আয়রন- যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে
এককাপ চিনে বাদাম ড্রাইরোস্ট করে নিন। এবার ওর খোসা ছাড়িয়ে গ্রাইন্ডারে গুঁড়ো করে নিন। এবার এক কাপ ফ্ল্যাক্স সিডস, ১/২ কাপ কাজু,১/২ কাপ সূর্যমুখীর বাজ, ১/২ কাপ কুমড়োর বীজ, ১/২ কাপ আখরোট কড়াইতে নেড়ে গুঁড়ো করে নিন। এবার এক সঙ্গে ২ কাপ কোকোনাট পাউডার আর ১০ টা আমন্ড মিশিয়ে আরও একবার গুঁড়ো করে নিন। এবার প্যানে দু চামচ ঘি দিয়ে এক কাপ খেজুর দিয়ে নাড়তে থাকুন। খেজুর গলে এলে এই পাউডার মিশিয়ে নিন। ভাল করে পাক করে লাড্ডুর আকারে গড়ে নিন। টানা ছ’মাস খান, আর তফাত নিজের চোখেই দেখুন।