চাঁদিফাটা রোদে বেরোলে হাড়ে-হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে কীরূপ গরম পড়েছে। রোদের তাপে বিকালের পরও নিস্তার নেই রাজ্যবাসীর। তীব্র গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে দই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে পুষ্টিবিদেরা। যদিও গরমে বাঙালির অন্যতম প্রিয় খাবার দই-চিঁড়ে। ঘরে পাতা দই আর তার সঙ্গে চিঁড়ে—এই জলখাবারেই খুশি বাঙালি। কিন্তু এই খাবারে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নাকি ক্ষতিকর, সেটা কি জানেন?
পুষ্টিবিদদের মতে, এই গরমে দই যেমন উপকারী, তেমনই চিঁড়েও। গ্রীষ্মকালে জলখাবারে চিঁড়ে খেলে শরীরের অনেক উপকার হয়। দেখতে গেলে, ভাতের বিকল্প হিসেবে চিঁড়ে। তাছাড়া পুষ্টিকর খাবার এটি। গরমে নিয়মিত চিঁড়ে খেলে আপনি ডায়ারিয়ার হাত থেকেও দূরে থাকতে পারবেন। ড়ের মধ্যে ভিটামিন এ, বি, আয়রন, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, জিঙ্ক, কপার, ম্যাগনেসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। চিঁড়ের মধ্যে ফাইবার রয়েছে। সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রাও এতে সীমিত পরিমাণে পাওয়া যায়। তাই ডায়াবেটিস, কিডনির রোগী ও হার্টের রোগীরাও চিঁড়ে খেতে পারেন।
অন্যদিকে, টক দই এই গরমে আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। দইয়ের মধ্যে প্রো-বায়োটিক উপাদান রয়েছে, যা ইউরিন ইনফেকশনের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও টক দইয়ের মধ্যে ভিটামিন এ, বি ৬, বি ফ্যাট, ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। এই গরমে যদি প্রতিদিন দই খান, তাতেও কোনও ক্ষতি নেই। বরং, এতে উপকারই হয় স্বাস্থ্যের।
প্রাতরাশে অনেকেই এই দই-চিঁড়ে খান। এখন নিশ্চয়ই আপনিও বুঝে গিয়েছেন যে এই খাবার স্বাস্থ্যের জন্য কতটা উপযোগী। বিশেষত, আপনি যখন গরমে সুস্বাদু ব্রেকফাস্টের খোঁজে রয়েছেন। কীভাবে এই দই-চিঁড়ে বাড়িতে বানিয়ে খাবেন, রইল টিপস।
দই-চিঁড়েকে সুস্বাদু বানানোর সহজ উপায়-
প্রথমে চিঁড়েটা জলে ভাল করে ধুয়ে নিন। তারপর চিঁড়েটা ৫ মিনিট জলে ভিজিয়ে রাখুন। চিঁড়ে জলটা শুষে নিলে ভাল। অন্যথায় আপনি বাকি জলটা ফেলে দিতে পারেন। এবার এতে পরিমাণ মতো টক দই মিশিয়ে দিন। মিষ্টি স্বাদের জন্য অনেকেই দই-চিঁড়েতে চিনি মিশিয়ে দেন। চিনির বদলে আপনি এতে মুড়কি মেশাতে পারেন। এতে মিষ্টি স্বাদও হয় এবং খেতেও সুস্বাদু হয়। এবার এতে দুটো কলা গোল গোল করে কেটে মিশিয়ে দিন। ব্যস তৈরি আপনার দই-চিঁড়ে। এই এক বাটি দই-চিঁড়ে খেলেই পেট ভরে যাবে।