কফি না খেলে অনেকেই দিন শুরু করতে পারেন না। তা সে ভরা গরম হোক বা শীত। অনেকের পছন্দ যেমন দুধ-কফি তেমনই আবার অনেকেই দুধ-চিনি ছাড়া কফিতেই অভ্যস্ত। যাঁরা নিয়মিত ডায়েট করেন তাঁদের রোজ দুধ-চিনি ছাড়া ব্ল্যাক কফি খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত ওয়ার্ক আউট শুরু করার আগে। এতে শরীর যেমন অতিরিক্ত এনার্জি পায় তেমনই ফ্যাটও ঝরে তাড়াতাড়ি। গরমের দিনে রোজ সকালে আবার কাপ ভর্তি ব্ল্যাক কফি খেলে শরীর গরম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যাও আসতে পারে। যে কারণে গরমের দিনে অনেক মানুষই আছেন যাঁরা সচেতন ভাবেই কফি এড়িয়ে চলেন। পরিবর্তে নানা রকম শরবত-পানীয়তেই দিন শুরু করেন অনেকে। রাতে দীর্ঘসময় পেট খালি থাকে। আর তাই মর্নিং ড্রিংক এবং ব্রেকফাস্ট শরীর সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। রোজের কফিতে মিশিয়ে নিন চিয়া সিডস আর মধু। খেতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই ওজন কমবে ঝটপট।
চিয়া সিড পুষ্টিগুণে ভরপুর। এর মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। যা আমাদের শরীরে জলের চাহিদা মেটায়। শরীরকে হাইড্রেট রাখে। সেই সঙ্গে কিন্তু ওজন কমাতেও সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে চিয়া সিডের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায়। এছাড়াও ত্বক, চুল এসব ভাল রাখে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যও বেশ ভাল এই চিয়া বীজ। রক্তে শর্করার মাত্রা কমিয়ে ইনসুলিন তৈরিতে সাহায্য করে। ফলে সুগার থাকে নিয়ন্ত্রণে।
কী ভাবে বানাবেন এই কফি চিয়া পুডিং?
সম্প্রতি পুষ্টিবিদ স্নেহাল আদসুলে তাঁর ইন্সটাগ্রামে এইকটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি পরামর্শ দেন ওটস আর চিয়া বীজের সঙ্গে কফি মিশিয়ে খেলে শরীর যেমন পুষ্টি পায় তেমনই একাধিক রোগ সমস্যাও কিন্তু দূরে থাকে।
যে ভাবে বানাবেন
একটা বড় গ্লাসে এক চামচ ভেজানো চিয়া বীজ নিন। এবার ওর মধ্যে তিন বড় চামচ ওটস, কফিএক চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স সামান্য, মধু, ড্রাই ফ্রুটস আর দুধ মেশান। এবার ফ্রিজে গ্লাস রেখে দিিন অন্তত ৬ ঘন্টার জজন্য়। পরদিন ব্রেকফাস্টে ঠান্ডা ঠান্ডা কফি-চিয়া পুডিং খান।
এই পুডিং এর উপকারিতা
গরমের দিনে সকলেই ঠান্ডা কোনও কিছু খেতে পছন্দ করেন। সেদিক থেকে এই পুডিং বেশ ভাল। আর মিষ্টি খেতে সকলেই ভালবাসেন। কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে বা ডায়াবেটিসের আশঙ্কা থেকে তা এড়িয়ে চলেন। মধু, কিশমিশ, খেজুর, আমন্ড, পেস্তা এই সবই স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। আর সব উপাদান পরিমাণে হাফ চামচ করে দেবেন। তবেই বজায় থাকবে সুস্বাস্থ্য। যাঁদের ডায়াবেটিস রয়েছে তাঁরাও এই চিয়া-কফির পুডিং খেতে পারেন। সেক্ষেত্রে মধুর পরিবর্তে এক চামচ জাগেরি পাউডার মেশান।