আজকাল বিরিয়ানি (Biryani) খাওয়ার কোনও নির্দিষ্ট দিন হয় না। সময়ে, অসময়ে বিরিয়ানি পেয়ে গেলে মনটা হঠাৎ করেই ভাল হয়ে যায়। কিন্তু কিনে বিরিয়ানি খাওয়া ছাড়া উপায়ও থাকে না অনেক সময়। প্রিয় রেস্তোরাঁ বিরিয়ানির স্বাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কিন্তু রোজ রোজ বিরিয়ানি কিনে খেলে পকেটেও টান পড়বে, এর পাশাপাশি দেখা দেবে পেটের গোলযোগ। কারণ রেস্তোরাঁর বিরিয়ানিতে যে সব সময় ভাল তেল ব্যবহার করা হয় তা নয়। এই ক্ষেত্রে আপনি যদি বাড়িতে বিরিয়ানি তৈরি করে খান, সেটা অনেক বেশি উপকারী। কিন্তু বাড়িতে বিরিয়ানি তৈরি করতে বেশ ঝক্কি পোহাতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় বিরিয়ানির মশলা তৈরি করতে। বিরিয়ানির মশলা যদি একবার তৈরি করে সংরক্ষণ করে রাখেন তাহলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যাবে।
বিরিয়ানি মশলা আপনি একবারই একটু বেশি পরিমাণে তৈরি করে রাখতে পারেন। এর পর সেই মশলা বার বার ব্যবহার করে আপনি সহজেই বাড়িতে তৈরি করতে নিতে পারেন বিরিয়ানি। আর বিরিয়ানির মশলা যদি ঠিকঠাক না হয়, তাতে স্বাদও ভাল হয় না। সুতরাং, বিরিয়ানির মশলা তৈরিতে বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন। কারণ বিরিয়ানির মশলাই হল এই পদের সম্পদ। কিন্তু কীভাবে বাড়িতে তৈরি করবেন এই মশলা? দেখে নিন এক নজরে…
বিরিয়ানির মশলা যে ভাবে তৈরি করবেন-
কাশ্মিরী লাল লঙ্কা- ৫টি, গোটা ধনে- ৩ টেবিল চামচ, তেজপাতা- ৫টি, জিরে- ১ টেবিল চামচ, শাহি জিরে- ১ টেবিল চামচ, জয়ত্রী- ১ টেবিল চামচ, দারুচিনি- ২ স্টিক, লবঙ্গ- ১ চা চামচ, বড় এলাচ- ৩টি, স্টার আনিস- ২টি, গোটা গোলমরিচ- ১ টেবিল চামচ, ছোট এলাচ- ১০টি, মৌরি- ১ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ, জয়ফল গুঁড়ো- ১/২ চা চামচ।
শুকনো কড়াইতে গোটা মশলাগুলো ড্রাইরোস্ট করে নিতে হবে। প্রথমে কড়াইতে তেজ পাতা ও শুকনো লঙ্কা কেটে কেটে ফেলে দিন। কম আঁচে রেখে নাড়াচাড়া করতে থাকুন। রঙ বদলাতে শুরু করলে এই দুটো উপাদান নামিয়ে নিন। এবার ওই কড়াইতে এবার দিন দারুচিনি, জয়ত্রী ,লবঙ্গ , ছোট এলাচ, স্টার অ্যানিস, গোটা গোলমরিচ ও বড় এলাচ। এগুলোও কম আঁচে রেখে নাড়াচাড়া করুন। মশলা ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে নিন।
আবার ওই কড়াইতে গোটা জিরে, গোটা ধনে, শাহি জিরে ও মৌরি দিয়ে ভেজে নিন। এই মশলাগুলো ভাজা হয়ে গেলে সব মশলা গুলোকে ঠান্ডা করে এক সঙ্গে মিশিয়ে দিন। এবার এই মশলাগুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। মশলা গুঁড়ো হয়ে গেলে এতে হলুদ গুঁড়ো ও জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এবার একটি কাঁচের জারে বা কৌটোতে মশলাটা রেখে দিন। যে পাত্রে রাখবেন সেটা যেন শুষ্ক হয়। আর সূর্যালোকে যেন না আসে মশলাটা, সেই দিকে খেয়াল রাখুন।