Soaked Figs: দিনের শুরু যে ভাবে হয়, তার উপর নির্ভর করে বাকি দিন আমাদের কেমন যাবে। কারোর দিনের শুরু হয় একগ্লাস উষদুষ্ণ জলে, কেউ খান মেথি-মৌরির জল। আবার অনেকের এক কাপ কড়া কফি বা ঘন দুধ-চিনি দেওয়া চা না হলে ঘুমই ভাঙে না। এছাড়াও খালিপেটে মেথি-জিরের জল থেকে শুরু করে কিশমিশ ভেজানো জল অনেক কিছুই খাবার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই প্রত্যেকটি জলেরই আলাদা রকম উপকারিতা রয়েছে। তুলনায় ডুমুর খানিকটা প্রান্তিক। শহরাঞ্চলে অনেকেই এই ফলটির সম্পর্কে তেমন জানেন না। বাজারে সব সময় যে পাওয়া যায় তাও নয়।
কিন্তু এই ডুমুর খেলেও কিন্তু একাধিক উপকারিতা পাওয়া যায়. ডুমুরের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। আছে পটাশিয়াম,ভিটামিন এ, বি, ক্যালশিয়াম। যা আমাদের ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি রক্তচাপও কিন্তু নিয়ন্ত্রণে রাখে। ডুমুরের মধ্যে থাকে ফাইবার যা আমাদের ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে ডুমুরের মধ্যে রয়েছে পেকটিন- যা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। পুষ্টিবিদদের মতে, এককাপ জলে সারারাত দু-তিনটে ডুমুর ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালিপেটে সেই জল ছেঁকে নিয়ে খান। এতে শরীর যেমন ভাল থাকবে তেমনই অনেক সমস্যারও সমাধান হবে। হবে পুষ্টির ঘাটতি। যাঁদের অ্যানিমিয়ার সমস্যা রয়েছে এবং মেনোপজ পরবর্তী সময়ে এই ডুমুর জল কিন্তু খুবই উপকারী। এর সঙ্গে খেতে পারেন বেশ কিছু ড্রাই ফ্রুটস। এই জল খাওয়ার ৩০ মিনিট পর চা-ব্রেকফাস্ট খান।
ডুমুর খেলে যে সব উপকারিতা পাবেন-
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে- ডুমুরের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম। এই পটাশিয়াম আমাদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। রোজকাল ফল, সবজির সঙ্গে আমরা এমন কিছু খাবার খাই যা আমাদের শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এবার রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ বাড়লে রক্তচাপ বাড়বেই। এই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতেই দারুণ সাহায্য করে ডুমুর।
ক্যানসার প্রতিরোধে- ক্যানসার প্রতিরোধেও দারুণ ভূমিকা রয়েছে ডুমুরের। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা সামনে এসেছে। সেখানেই জানা গিয়েছে মেনোপজ পরবর্তী সময়ে প্রচুর মহিলা স্তন ক্যানসারের সমস্যায় ভোগেন। আর তাই ডুমুরের তরকারি বা ডুমুর ভেজানো জল খেলে কিন্তু এই ক্যানসারের সম্ভাবনা ৩৪ শতাংশ কমে।
ডায়াবিটিসের সমস্যায়- ডায়াবিটিসের সমস্যার জন্য কিন্তু ভীষণ উপকারি হল ডুমুর। ডুমুর ফলের সঙ্গে ডুমুর পাতাও সমানভাবে উপকারী। নিয়মিত ভাবে ডুমির খেলে রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা ঠিক থাকে। আলাদা করে নসুলিন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায়- ডুমুরের মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টি। এছাড়াও জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রনের মতো খনিজ পদার্থের পাওয়ার হাউস হল ডুমুর। ডুমুরের মধ্যে যে ফাইবার থাকে তা আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে দূরে রাখে। অন্ত্রকে সুস্থ রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই ডুমুরের।
আরও পড়ুন: Kolkata Weather update: অসহ্য গরমে নাজেহাল রাজ্যবাসী, ঠান্ডা হতে ভরসা রাখুন এই আর্য়ুবেদিক টোটকায়