Ayurvedic health tips: অসহ্য গরম থেকে আপাতত স্বস্তি নেই রাজ্যবাসীর। রাজ্যের বেশ কিছু জায়গায় তাপমাত্রা পেরিয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে চলছে তাপপ্রবাহ। দফায় দফায় নবান্ন থেকে সতর্ক করা হচ্ছে তাপপ্রবাহের। দেওয়া হয়েছে সচেতনতার বার্তাও। খুব প্রয়োজন না থাকলে সকালে ১০টার পর বাড়ির বাইরে বেরোতে নিষেধ করছেন চিকিৎসকরা। একই বার্তা দেওয়া হয়েছে সরকারের তরফেও। বেলা ১১ টা থেকে ৪ টে পর্যন্ত বাড়িতেই থাকুন। প্রচুর পরিমাণে জল খান। আপাতত মে মাসের প্রথম সপ্তাহের আগে কোনও রকম বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের উপ-অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “আগামী ২৮ তারিখ অবধি বৃষ্টির খুব একটা সম্ভাবনা নেই। ২৯ তারিখ থেকে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে বদলাবে। তবে বৃষ্টির জোরাল সম্ভাবনার কথা বলতে গেলে সেটা ২ মে থেকে।” খানিকটা স্বস্তি উত্তরবঙ্গে। প্রায়শই বৃষ্টি হচ্ছে সেখানে কিন্তি মালদা জেলাতেও একই ভাবে তাপপ্রবাহ চলছে।
এই গরমে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। ইতিমধ্যে কমেছে বাসের সংখ্যা। সেই সঙ্গে রোজ এই রোদ-ঘামে যাতায়াতের ফলে শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত হয়ে পড়ছে। সব অফিসেই যে এসি রয়েছে এমন কিন্তু নয়। কিন্তু এমন পরিস্থিতে এসি- ছাড়া টেকা দায়। তাপপ্রবাহ সবচেয়ে বেশি থাকে এই ১১-৪টে সময়সীমার মধ্যে। বাড়িতে থাকলেও ঘাম হচ্ছে। আর তাই হালকা খাওয়া দাওয়া করুন। স্যুপ, জস, হালকা ঝোল, তেল-মশলাদার খাবার একেবারেই কম খান। পারলে এড়িয়ে চলুন। বারে বারে নুন-চিনির জল, ডাবের জল এসব বেশি করে খান। বাইরে বেরোলেও কিন্তু কাটাফল, লস্যি, জুস এসব এড়িয়ে চলতে পারলে ভাল, কারণ হতে পারে পেটের সংক্রমণ।
হিট স্ট্রোক কী?
শরীরের তাপমাত্রা যখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বাইরে চলে যায় তখনই কিন্তু একাধিক সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষত শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা অনেক বেশি হয়। কারণ তাদের শরীর হঠাৎ এই তাপমাত্রার পরিবর্তন মেনে নিতে পারে না। তাদের শরীরে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ কঠিন হয়ে পড়ে। এছাড়া ও হঠাৎ করে এসির থেকে বাইরে বেরোলেও কিন্তু এই সমস্যা হতে পারে। তাই এসির থেকে কিছুক্ষণ বসে অপেক্ষা করে তারপর বেরোবেন বাড়ির বাইরে থেকে। গরমের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে ধনেপাতা আর পুদিনার তৈরি এই পানীয়ের উপরই বার বার জোর দিচ্ছেন আর্য়ুবেদিক বিশেষজ্ঞরা। এমনকী বাড়ির বাইরে বেরোলে ও এক বোতল এই পানীয় তৈরি করে নিয়ে যান।
কী ভাবে কাজ করে এই পানীয়
ধনেপাতা আমাদের কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে যকৃত যাতে ঠিকমতো কাজ করে সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখে। এছাড়াও রক্তশর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে ধনেপাতার। ধনেপাতায় উপস্থিত সিনিওল এসেন্সিয়ল অয়েল এবং লিনোলিক অ্যাসিড- যার মধ্যে থাকে অ্যান্টিরিউম্যাটিক বৈশিষ্ট্য। যা আমাদের জ্বালাভাব কমায় এবং শরীরকে ঠান্ডা রাখে।
কী ভাবে তৈরি করবেন এই পানীয়
যা যা লাগছে
ধনেপাতা- একআঁটি
পুদিনা পাতা- ৬ টি
গুড়ের চিনি
ঠান্ডা জল
যে ভাবে বানাবেন
ধনেপাতা গ্রাইন্ডার বা শিলে ভাল করে বেটে নিন। এবার এই ধনেপাতা বাটার সঙ্গে ঠান্ডা জল, গুড়ের চিনি ( আখের গুড় থেকে তৈরি চিনি), কয়েকটা পুদিনা পাতা মিশিয়ে নিন। রোদ থেকে বাড়িতে ফিরে ১৫-২০ মিনিট ফ্যানের তলায় বসে ঠান্ডা হয়ে এই পানীয় খান।
আরও পড়ুন: Banana: রোজ সকালে খালি পেটে ১টা কলা, উপকার পান হাতে-নাতে!