রাত জেগে অঞ্জলি, উপবাসের পর শরীরে একটা ক্লান্তি থাকেই। কালীপুজো মূলত গভীর রাতের পুজো। সোমবার ভোররাতে পুজো শেষ হয়েছে অধিকাংশ বাড়িতে, মন্দিরে। পরদিন দুপুরে থাকে খাওয়া-দাওয়ার পর্ব। অনেক বাড়িতেই তাই পরদিন দুপুরে খিচুড়ি ভোগ হয়। খিচুড়ি, ভাজা, লাবড়া, চাটনি, পোলাও এসবই থাকে মেনুতে। সারাদিনের পরিশ্রমের পর, রাত জাগার পর খিচুড়ি হজম করতেও একটু সমস্যা হয়। আগের দিন জল কম খাওয়া হয়। তাও অ্যাসিডির একটি অন্যতম কারণ। হজম না হলেই বমি বমি ভাব, পেটে জ্বালা, গলা জ্বালা, বুক জ্বালা এই সব সমস্যা থকেই যায়। আজকাল এই উপবাসের অভ্যাস অনেকের মধ্যেই থাকে না। যে কারণে একদিন যদি বেনিয়ম হয় সেখান থেকে নানা সমস্যা আসে।
খিচুড়ির সঙ্গে টক চাটনি থাকলে অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা আরও বেশি বেড়ে যায়। যাঁরা নির্দিষ্ট কোনও ওষুধ খান, যাঁরা নিয়মিত ভাবে মদ্যপান, ধূমপান করেন তাঁদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা আরও অনেক বেশি হয়। আর তাই দুপুরে এমন ভারী খাওয়া হলে রাতে একদম হালকা খাবার খান। সেই সঙ্গে বিকেলে দুধ চা বা কফির পরিবর্তে ভেষজ চা খান। এতে হজমের সমস্যাও যেমন কাটবে তেমনই শরীরও রেহাই পাবে।
ক্যামোমাইল চা- ক্যামোমাইল চা স্নায়ুকে শিথিল করে। তেমনই এই চা আমাদের হজমেও সাহায্য করে। আর এই চা পেটের জ্বালাভাব কমাতে সাহায্য করে। অ্যাসিডিটির সমস্যা থাকলে এই চা অবশ্যই একবার খাবেন। আর ঠাণ্ডা লাগলে এই চা খুব উপকারী।
আদা চা- আদা হজমের জন্য খুবই ভাল। চায়ে আদা, গোলমরিচ থেঁতো করে দিলে আর সেই চা যদি নিয়ম করে খেতে পারেন তাহলে খুবই ভাল। আদা চা বমি বমি ভাব কমাতে সাহায্য করে, সেই সঙ্গে পাকস্থলীর অম্লতার সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। রক্তচাপ কমাতে, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে কাজে আসে আদা।
লেবু চা- লিকার চায়ের মধ্যে লেবুর রস আর পুদিনা পাতা মিশিয়ে খান। পেটের অম্ল ভাব কমাতে সাহায্য করে এই চা। তবে পুদিনা চা অনেক সময় অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। এক্ষেত্রে নিজেকেই সাবধান হতে হবে।
অ্যাসিডের সমস্যা হলে কোনও রকম টক খাবার খাবেন না। তেমনই কার্বোনেটেড কোনও কিছুও খাবেন না। অনেকে দারণা কোল্ড ড্রিংক বা কার্বোনেটেড ড্রিংক খেলে অ্যাসাডিটির সমস্যা মিটেযায়। যা সম্পূর্ণ ভাবেই ভুল।