শীতকালে কুল ছাড়া আর কিছু ভাবা যায় না। স্কুলের গেটের সামনে আচারের জার নিয়ে আচারকাকুর হাঁকডাক কিংবা শীতকালে টোপা কুল (Indian Jujube) দিয়ে আচার বানিয়ে দিদা-ঠাকুমারা রোদে দেওয়ার ঘটনাগুলো এখন সবই স্মৃতি (Nostalgic)। শীতের মিঠে রোদে টোপা কুলের আচার চুরি করে খাওয়ার মজাই আলাদা। আর কুলের আচার (Kuler Achar) বললে বাঙালির এমনিতেই জিভ দিয়ে জল চলে আসে। বসন্তকালে আচার না হলে কি আর চলে। এখন অধিকাংশই কাজের জন্য বিদেশে বা ভিনরাজ্যে পাড়ি দিয়েছেন। কিন্তু মনেপ্রাণে এখনও সেই ছোট্টবেলার স্মৃতিগুলো আঁকড়ে রেখেছেন। তাই সুযোগ পেলেই কিশোরবেলার (Childhood) খাবারগুলি নিজেরাই বানিয়ে নিতে বাধ্য হোন। তাই আজকের স্পেশাল রেসিপি (Special Recipe) হল কুলের আচার। কী কী লাগবে. কেমনভাবে তৈরি করবেন, তা দেখে নিন একনজরে…
উপকরণ
৫০০গ্ৰাম পাকা কুল
৮০০গ্ৰাম চিনি
২টি গোটা লঙ্কা
১চা চামচ পাঁচফোড়ন
২চা চামচ সরষে
স্বাদমতো লবণ
কীভাবে বানাবেন
কুলগুলিকে ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর কড়াইতে চিনি দিয়ে তারপর পাঁচফোড়ন ও সরষে দিয়ে সিরাপ তৈরি করে নিতে হবে। কুলগুলি দিয়ে ভালো করে ফোটাতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ পর পরিমাণ মতো নুন দিতে হবে। তারপর কুলগুলি যখন সিরাপটার সঙ্গে ভালো করে মাখা মাখা হয়ে গেলেনামিয়ে নিন। গুড় দিয়ে বানাতে হলে গুড়ের সিরাপ বানিয়ে তাতে কুলগুলো দিয়ে দিতে হবে।
আপনি কি জানেন শীতকালে কুল কেন খাওয়া হয়, কী তার গুণ রয়েছে? বিশেষজ্ঞদের মতে, কমলালেবুর তুলনায় এই কুলে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ বেশি রয়েছে। শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, চুলের খুশকি নির্মূল করতে, শীতকালে গ্লোয়িং ত্বকের জন্যও দারুণ ফল। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। রয়েছে কম ক্যালোরি। কুলে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড, পলিস্যাকারাইড এবং ট্রাইটারপেনিক অ্যাসিডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য, যা শরীরের অতিরিক্ত ফ্রি র্যাডিকেলের কারণে ক্ষতিকে দূর করতে সক্ষম। যাদের ঠিকমতো ঘুম হয় না তারা কুল খেতে পারেন। কুল ঘুম হতে সাহায্য করে। প্রতিদিন চার থেকে পাঁচটি কুল খান দেখবেন আপনার ঘুম ভালো হবে।