Dessert Recipe: খাবারের শেষপাতে ক্ষীর খেতে কে না ভালবাসে! দেখে নিন বাড়িতে কীভাবে আমন্ডের ক্ষীর বানানো যেতে পারে…
শেষ পাতে মিষ্টির ছোঁয়া দিতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু বাদাম ক্ষীর। এটা স্বাস্থ্যকর তো বটেই এমনকি মিষ্টির পরিমাণটা একটু মেনে যদি চলেন তাহলে এর চেয়ে উপকার ডেজার্ট খুব কমই পাবেন।
Follow Us
মিষ্টি আর বাঙালি…এ যেন এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। উৎসবে, পার্বণে, আনন্দে মন ভরে একটু মিষ্টিমুখ না করলে কেমন যেন কোথাও একটা খামতি থেকেই যায়। বিশেষ করে, মেনুতে যত ভাল ভাল খাবারই থাকুক না কেন, শেষ পাতে একটু মিষ্টিজাতীয় কিছু পেটে না পড়লে যেন শরীরটা অস্বস্তিতে পড়ে যায়। মানে আমরা এতটাই মিষ্টিলোভী, যে খাবারে মিষ্টি না থাকলে সেক্ষেত্রে মিষ্টি পান হলেও আমাদের দিব্যি চলে যায়। কিন্তু, মিস্তি…চাই ই চাই।
উৎসবের এই আবহে বাড়িতে জমিয়ে খাওয়াদাওয়া তো হবেই। এসবের মাঝে শরীরকে সুস্থ রাখাটাও অত্যন্ত জরুরি। তাই শেষ পাতে মিষ্টির ছোঁয়া দিতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন সুস্বাদু বাদাম ক্ষীর। এটা স্বাস্থ্যকর তো বটেই এমনকি মিষ্টির পরিমাণটা একটু মেনে যদি চলেন তাহলে এর চেয়ে উপকার ডেজার্ট খুব কমই পাবেন। কীভাবে বানাবেন বাদাম ক্ষীর? দেখে নিন রেসিপি।
উপকরণ:
এক লিটার দুধ
২৫টা আমন্ড
পরিমাণ মতো চিনি
১/৪ কাপ চাল
হাফ চা চামচ এলাচ গুঁড়ো
এক চিমটি কেশর
৫০ গ্রাম খোয়া
পদ্ধতি:
প্রথমে কড়াইতে দুধ ঢেলে হাই ফ্লেমে ভাল করে ফোটান। ঘন ঘন নাড়তে থাকবেন।
মিক্সিতে খোসা ছাড়ানো আমন্ড এবং কিছুটা দুধ ঢেলে মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। তারপর ওই মিক্সিতেই চাল ও সামান্য জল ঢেলে একটু পিষে নিন।
দুধ ফুটে অর্ধেক হয়ে গেলে তাতে চালের মিশ্রণ ও কেশর ঢেলে দিন। মাঝারি আঁচে ভাল করে ফোটান এই মিশ্রণ এবং ঘন ঘন নাড়তে থাকুন, যাতে পাত্রের নীচে বসে না যায়।
দুধ ফুটে ফুটে একটু রঙ চেঞ্জ হবে এবং আরও ঘন হয়ে যাবে, চালও গলে যাবে, তখন বাদামের মিশ্রণটা ঢেলে দিন। মেশান ভাল করে। তারপর খোয়া ঢেলে নাড়তে থাকুন। আরও বেশ কিছুক্ষণ রান্না করুন।
একদম গাঢ় হয়ে এলে পরিমাণমতো চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। তারপর এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। ব্যস তৈরি বাদাম ক্ষীর।
আপনি এটি গরম গরম পরিবেশন করতে পারেন, তবে ঠান্ডা করে পরিবেশন করলে আরও ভাল হবে। ওপরে পেস্তা ও আমন্ড কুচি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।