বাংলায় এখন উৎসবের মরশুম। দুর্গাপুজোর ঠিক এক মাস পরেই হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। আর এই পুজোর বিশেষ একটি তাৎপর্যও রয়েছে। দুর্গাপূজার ঠিক এক মাস পর জগদ্ধাত্রী পূজা উদযাপিত হয়। জগদ্ধাত্রীরও বাহন সিংহ। মা দুর্গার এক রূপ হিসেবেই তাঁর পুজো করা হয়। কার্তিকের শুক্লপক্ষে হয় এই পুজো। চারদিন ধরে চলা এই পুজোর মূল পুজো হয় নবমীর দিন।
কথিত আছে, রামকৃষ্ণ মিশনে এই উৎসবের সূচনা করেছিলেন রামকৃষ্ণদেবের স্ত্রী সারদা দেবী। প্রতি বছর মিশনে নিষ্ঠাভরে হয় জগদ্ধাত্রী পুজো। এই উত্সবটি মা দুর্গার পুনর্জন্ম হিসাবে উদযাপন করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, অশুভের বিনাশ করতে এবং তার ভক্তদের সুখ ও শান্তি দিতে পৃথিবীতে এসেছিলেন। আদিশক্তি মা জগদ্ধাত্রী সর্বশক্তিমান। তিনিই সব শক্তির মূলে। তিনি এই পৃথিবীর কাঠামোর রক্ষক। তাই তাকে জগদ্ধাত্রী বলা হয়। জগদ্ধাত্রীর ভোগে পোলাও, খিচুড়ি, লাবড়া, পনির, আলুর দম, ফ্রায়েড রাইস, ফুলকপির তরকারি-সহ একাধিক পদ থাকে। আর তাই আজ রইল ভোগের ফুলকপির রসা রেসিপি। সম্পূর্ণ নিরামিষ পদ্ধতি মেনে রেঁধে ফেলুন এই ভাবে।
যা যা লাগছে
ফুলকপি
আলু
গোটা জিরে
জয়িত্রী
আদা
হিং
টমেটো
কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো
জিরে গুঁড়ো
সরষের তেল
যে ভাবে বানাবেন
ফুলকপি বড় বড় টুকরো করে নিন। আলু ডুমো ডুমো করে কেটে রাখুন। এবার ফুলকপি আর আলু তেলে ভেজে নিতে হবে। টমেটো, আদা, কাঁচা লঙ্কা আর সামান্য জল দিয়ে বেটে পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। কড়াইতে আবার সামান্য তেল দিয়ে ওর মধ্যে গোটা জিরে, তেজপাতা, জয়িত্রী আর সামান্য হিং ফোড়ন দিতে হবে। এবার বেটে রাখা মশলা, জিরে গুঁড়ো, কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো, হলুদ, সামান্য নুন-মিষ্টি দিয়ে কফিয়ে নিতে হবে। মশলা থেকে তেল ছাড়লে সামান্য গরম জল দিন। এবার ফুলকপি আর আলু দিয়ে দিন। এবার সামান্য চিনি আর চেরা কাঁচালঙ্কা ছড়িয়ে দিন। এক কাপ গরম জল মিশিয়ে নিন। বেশ মাখা মাখা হয়ে এলে গরম মশলা গুঁড়ো আর ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। বাড়িতে কড়াইশুঁটি থাকলে কষানোর সময় দিতে ভুলবেন না। লুচি পোলাওয়ের সঙ্গে দারুণ লাগে নিরামিষ এই ফুলকপির রসা।