Water: রাত জেগে কাজ করছেন বলে বেশি করে জল খাচ্ছেন, কিন্তু ভুল করছেন না তো?

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Dec 28, 2021 | 11:11 PM

শরীর সুস্থ রাখতে জল খেতে হবে বেশি পরিমাণে। কিন্তু অতিরিক্ত বেশিও খাবেন না। এতে উপকারের থেকে অপকার বেশি। সেই সঙ্গে আসতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা

Water: রাত জেগে কাজ করছেন বলে বেশি করে জল খাচ্ছেন, কিন্তু ভুল করছেন না তো?
জল মেপে খান, বেশি নয়

Follow Us

জলই জীবন, আবার এই জল নিয়েই কম বিড়ম্বনা নেই জীবনে। সারাদিনে বেশি পরিমাণে জল খাওয়ার কথা ,সকলেই বলেন। শরীরের জন্য জলের প্রয়োজন কতখানি তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছুই নেই। ছোট থেকেই সকলকে বাড়িতে চমকে-ধমকে জল খাওয়ানোর অভ্যাস করান বড়রা। বয়স বাড়লে অনেকের ক্ষেত্রেই ছেদ পড়ে সেই অভ্যাসে। কিন্তু যাঁরা সচেতন তাঁরা নিয়ম করে গ্লাস মেপে জল খান। তবে জানেন কি শরীরের জন্যও পর্যাপ্ত পরিমাণ জলের প্রয়োজন। জল কম খেলেও যেমন সমস্যা হয় তেমনই বেশি খেলেও একাধিক সমস্যা আসে।

জল যে শুধু আমাদের শরীরকে হাইড্রেট রাখে তা নয়, জল কিন্তু শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিনও বের করে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতি কোশে এক্সিজেন সরবরাহ করতে, রক্ত সঞ্চালন ঠিক রাখতে এবং সর্বোপরি আমাদের সুস্থ রাখতে ভূমিকা রয়েছে জলের। কিন্তু আপনি যদি জল খাওয়ার সময় সেই নিয়ম না মানেন তাহলে কিন্তু পড়তে পারেন বিড়ম্বনায়। কোনও কিছুরই অতিরিক্ত ভাল নয়।

একটানা বসে কাজ করার সময় কিংবা সারা রাত জেগে কাজ করার সময় যখন আপনি জল খান তখন কিন্তু সেই জলের স্বাদে আসে পরিবর্তন। সাধারণ ভাবে যা আমরা ধরতে পারি না। কারণ জল যদি বেশিক্ষণ বোতলবন্দি থেকে যায় কিংবা আঢাকা অবস্থায় কোনও পাত্রে থেকে যায় তখন তার আণবিক পরিবর্তন ঘটে। জলের মধ্যেকার অক্সিজেন ভেঙে গিয়ে তৈরি হয় কার্বন ডাই অক্সাইড। সেই সঙ্গে কিন্তু জলের পিএইচ ভারসাম্যেও আসে পরিবর্তন। রাত জেগে কাজ করলে শরীর এমনিই শুষ্ক হয়ে যায়। ফলে তেষ্টাও বেশি পায়। ফলে জল বেশি খাওয়া হয়।

আর এতে জলের উপরের স্তরে থাকা ময়লাও কিন্তু অজান্তে খাওয়া হয়ে যায়। যেখান থেকে আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। সকালে ঘুম থেকে উঠে সরাসরি বোতল থেকে জল খাওয়াই আমাদের অভ্যাস। এছাড়াও অনেকেই আছেন যাঁরা গাড়িতে রাখা তিন-চারদিনের পুরনো জলও বোতল থেকে খেয়ে নেন। অনেকের অভ্যাস বোতলে মুখ লাগিয়ে জল কাওয়া। এসব কিন্তু মোটেই ভাল নয়। বোতলের মুখে লেগে থাকা ব্যাকটেরিয়া, জীবানু যেমন সরাসরি পেটে চলে যায় তেমনই ত্বকের মরা চামড়া, ধুলোবালি, ঘাম সেসবও জলে ধুয়ে যায়। মুখ দিয়ে জল খাওয়ার পর সেই বোতল যদি আরও কিছুক্ষণ বাইরে থাকে সেখান থেকে কিন্তু রোগ-জীবাণু ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি রয়ে যায়।

রাতে কাজ করার পাশাপাশি যদি বেশি জল খাওয়ার অভ্যাস থাকে তাহলে বোতল থেকে নয়, জল খান গ্লাস থেকে। এতে জল পরিমাণেও খাওয়া হবে তেমনই নোংরা-ধূলো চট করে পেটের ভিতর যাবে না। গ্লাসে জল রেখে ঢাকা দিয়ে রাখুন। প্রয়োজনমতো তা খান। তবে অর্ধেক জল খেয়ে গ্লাস ফেলে রাখবেন না। তেমনই অতিরিক্ত জলও নয়। এতে কিন্তু শরীরের সব অঙ্গ ছিকমতো কাজ করে না। সেই সঙ্গে ক্ষতিকর টক্সিনও সহজে শরীরের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। তাই প্রতিদিন বোতল পরিবর্তন করুন। বোতল ভাল করে পরিষ্কার করুন। যখন বাড়িতেই থাকছেন তখন গ্লাস থেকে জল কাওয়া অভ্যাস করুন। রাত জাগছেন বলেই যে সারারাত ধরে জল খেয়ে যাবেন এমনটা করবেন না।

Next Article