শীত মানেই শহরজুড়ে উৎসবের মরশুম। হরেক মেলা-পার্বণ থেকে পিকনিক- সবকিছুর জন্যই কিন্তু সেরা এই শীতকাল। আর তাইতো শাতের জন্যই বছরভর প্রতীক্ষা। শীতের রোদ গায়ে মেখে মোয়া, নলেন গুড়ের রসগোল্লা কিংবা পায়েস খাওয়ার মজাটাই কিন্তু অন্যরকম। সেই সঙ্গে কেক তো আছেই। এছাড়াও শীতে হাউস পার্টি, গেটটুগেদার এসবও থাকে। সেখানেও চিকেনের হরক পদ, বিরিয়ানি, রুটি, নান-এসব থাকে মেনুতে। শীতের দিনে প্রায় সব বাড়িতেই কেক-কুকিজ বানানো হয়। আর এসব লোভনীয় খাবার খেতে কে আর না ভালবাসে!
কিন্তু যাঁদের শরীরে প্রথম থেকেই চিনি বেশি থাকে তাঁদের কিন্তু এসব ভালো-মন্দ খাবারের সঙ্গে শত্রুতাও থাকে প্রথম থেকে। আর তাই সবাই যখন এসব খাবারে মশগুল থাকেন, তখন তাঁদের সাধারণ রুটি-তরকারিতেই খাওয়া সারতে হয়। কিন্তু যাঁরা লোভে পড়ে এসব খাবার খেয়ে ফেলেন পরবর্তীতে তাঁদের সমস্যায় পড়তে হয়। এমনকী যাঁদের ট্রাইগ্লিসারাইড, কোলেস্টেরল কিংবা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা রয়েছে তাঁদেরও কিন্তু এই সময় খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানে থাকা উচিত।
*শীতে বাড়ে হজমের সমস্যা। আর হজম ঠিকমতো না হলেই বাড়বে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা। যে কারণে এই সময়টা সকলকেই একটু সাবধানে থাকতে বলেন চিকিৎসকরা। পছন্দের মুখরোচক খাবার কম মশলা আর তেল দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন বাড়িতেই। চিনির পরিবর্তে ব্যবহার করুন স্টেভিয়া। এছাড়াও আরও যা যা কিছু মেনে চলবেন-
*ময়দার খাবার এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে আটার তৈরি রুটি, পরোটা খান। এছাড়াও ওটস দিয়ে ব্রাউনি কিংবা কেক বানিয়ে নিতে পারেন। চিনির পরিবর্তে কেক বানাতে মধু ব্যবহার করুন। ওটস, ড্রাই ফ্রুটস, খেজুর দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন হোম মেড কুকিজ।
*যে খাবারই খান না কেন তা সীমিত পরিমাণে খান। জল বেশি করে খান। গ্রিন টি খান। এতে মিষ্টি কিংবা ভাজাভুজি খাবারের ইচ্ছে কমে যায় অনেকটাই। পেট কখনই খালি রাখবেন না। এতে কিন্তু বাইরের খাবার কিংবা উল্টো-পাল্টা খাবারের ইচ্ছে বেড়ে যায়। আরও যা কিছু মেনে চলবেন-
*পেট একেবারেই খালি রাখবেন না। যত বেশি খালি পেটে থাকবেন ততই কিন্তু লোভ বাড়বে মিষ্টির প্রতি। আর তাই এই বিষয়ে সতর্ক থাকুন।
*হাতের সামনে রাখুন ড্রাই ফ্রুটস। খিদে পেলে তাই খান। এতে কিন্তু শরীর থাকবে ভাল। সেই সঙ্গে অন্যান্য অসুবিধেও তুলনায় কম হবে।
*বিকেলে বা সন্ধের সময়েও অল্প খিদে পায়। সে সময়ে ভারী খাবার (Diabetes Diet) না খেয়ে একটু ছানা খেতে পারেন। পেঁয়াজ, শসা, নুন, লেবু, চাট মশলা দিয়ে ছোলা মাখা খেতে পারেন। চিঁড়ে বা পোহা খাবেন না। হালকা ভেজিটেবল স্যুপ খেতে পারেন। অল্প চিকেন কুঁচি, পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে তৈরি স্যুপ খেতে পারেন। ধোকলা খাওয়া যেতে পারে তবে এর সঙ্গে মিষ্টি চাটনি কখনই নয়। বিকেল সময় হলে নুন, লেবু, কাঁচা পেঁয়াজ ছাতু মেখে খেতে পারেন।
*বাড়িতে বানিয়ে রাখুন প্রোটিন লাড্ডু। ওটস, ড্রাই ফ্রুটস আর গুড় দিয়ে তা বানিয়ে নিন। সবাই যখন মিষ্টি খাচ্ছে তখন আপনিও কিন্তু কামড় দিতে পারেন এই ল্ড়্ডুতে। মন ভাল থাকবে।