প্রতি বছরের মতো এবারও সারা দেশ জুড়ে পালিত হচ্ছে শিখ ধর্মের প্রতিষ্ঠাতা গুরু নানক জন্মবার্ষিকী। পৃথিবীতে তাঁর জন্মগ্রহণকে শুভ ও ঐশ্বরিক বলে মনে করা হয়। গুরু নানক দেবের শিক্ষার পুনর্বিবেচনার জন্য গুরু নানক জয়ন্তী পালিত হয়। এবং গুরুর প্রাথমিক শিক্ষাগুলির মধ্যে একটি হল – এক ঈশ্বরে বিশ্বাস (এক ওঙ্কার) এবং ঈশ্বরের ইচ্ছার (ওয়াহেগুরু) বশ্যতা। গুরু নানক দেবের সমস্ত শিক্ষা এবং নীতিগুলি শিখ ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ গুরু গ্রন্থ সাহিবে পাওয়া যায়।
জন্মদিনের ২দিন আগে থেকেই গুরুদেবজীর উত্সব শুরু করা হয়। গুরুদ্বারগুলি অখন্ড পাঠের আয়োজন করা হয়। যেখানে গুরু গ্রন্থ সাহেবের ৪৮-ঘন্টা অবিরাম পাঠ করার রীতি। গুরুপুরবের দিন, খুব ভোরে প্রভাত ফেরি (মিছিল) (অমৃত ভেলা) দিয়ে উদযাপন শুরু হয়। এরপর হয় কতকথা, কীর্তন ও লঙ্গর। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের জন্য বিনামূল্যে সাম্প্রদায়িক মধ্যাহ্নভোজের (ল্যাঙ্গার) আয়োজন করেন ভক্তরা। আর এই মধ্যাহ্নভোজের রেসিপি স্থানভেদে পরিবর্তন করা হয়। প্রতিটি ল্যাঙ্গারে সাধারণত ভাত, রোটি, ডাল, সবজি এবং লস্যি পরিবেশন করা হয়। উল্লেখ্য, প্রতিটি ল্যাঙ্গারে একটি অতিআবশ্যিক পদ থাকে, তা হলে কড়া প্রসাদ। গম, চিনি এবং ঘি দিয়ে তৈরি একটি অতিসুস্বাদু হালুয়া।
আপনি বাড়িতেও সেই প্রসাদ বানাতে পারেন। তাহলে জেনে নিন প্রথমে কী কী উপকরণ এতে প্রয়োজন হয়।
কী কী লাগবে
পুরো গমের আটা, ঘি, চিনি ও জল।
কীভাবে করবেন
একটি প্যানে গি গরম করুন। এবার তাতে মোটা আটা দিয়ে দিন। একটানা নেড়ে আটার মিশ্রণটি নরম করে তুলুন। এবার হালকা বাদামী রঙের হয়ে আসতে শুরু করবে। মিশ্রণ থেকে ঘি বের হতে শুরু করলে তাতে চিনি দিয়ে ফের একসঙ্গে নাড়তে থাকুন। যতক্ষণ পর্যন্ত চিনি মিশ্রণের সঙ্গে দ্রবীভূত হচ্ছে, ততক্ষণ নেড়ে যান। এবার প্রয়োজন মত জল দিন। পিণ্ড যাতে না হয়ে যায় তা লক্ষ্য রাকুন। হালুয়া ঘন হয়ে এলে আঁচ বন্ধ করে গরম গরম পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন: Recipe: চটপট ও সহজ রান্না, আবার স্বাদেও সেরা! বাড়িতে আজই বানান চিংড়ি ভাপা