পাড়ায় ঘুরে ঘুরে বিজয়ার প্রণাম সারার দিন অনেক আগেই ফুরিয়ে গিয়েছে। ফুরিয়ে গিয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে চা, শিঙাড়া, মিষ্টি, ঘুগনি খাওয়ার দিন। বিজয়ার সেই মিষ্টিমুখ, কোলাকুলি সব কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে। এখন প্রণাম সারা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। অর্ডার দিলে বাড়িতে পৌঁছে যায় মিষ্টিও। বাড়ির বানানো নাড়ু, নিমকির পরিবর্তে থাকে কাটলেট, রোল, মোগলাই, পিৎজা, বার্গার। রসগোল্লা নয়, বরং বেকড রসগোল্লা কিংবা পেস্ট্রিই বেশি চোখে টানে। তবে স্বাদে বিদেশি খাবারকে বলে বলে গোল দেবে বাড়িতে বানানো এই সব নাড়ু, নিমকি, ঘুগনি । আজকাল দোকানে সবই কিনতে পাওয়া যায়। তবে বাড়িতে বানানো খাবারের স্বাদই আলাদা। আর তাই এই বিজয়াতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন মুখরোচক কিছু জলখাবার। এতে শরীরও থাকবে সুস্থ সঙ্গে বাঁচবে পকেটও। আজ রইল বিজয়ার স্পেশ্যাল মাংসের ঘুগনির রেসিপি।
যা কিছু লাগছে
খাসির মাংস- ছোট টুকরো করে রাখা ৫০০ গ্রাম
মটর- ১ কেজি
পেঁয়াজ- বড় ৩ টে
আদা, রসুন, কাঁচা লঙ্কা বাটা- বড় ৪ চামচ
শুকনো জিরে- ফোড়নের জন্য
শুকনে লঙ্কা
শুকনো খোলাইতে ভেজে গুঁড়ে করা ভাজা মশলা- ৩ চামচ (জিরে ১ চামচ, ১ চামচ ধনে, ২ টো শুকনো লংকা, ৫ টি ছোট এলাচ, একটা বড় দারুচিনি)
সরষের তেল , প্রয়োজন মত
যে ভাবে বানাবেন
মটর যেন অন্তত ২৪ ঘন্টা জলে ভেজে। মটর বা কাবলি ছোলা প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নিন। নুন কম দেবেন। কারণ মাংস আলাদা করে রান্না করে এতে মেশানো হবে। মাংস ধুয়ে মশলা মাখিয়ে, পেঁয়াজের টুকরো সহ রেডি করে রাখুন। প্রেসারে তেল দিয়ে জিরে ও শুকনো লংকা ফোড়ন দিন। মাংসটা দিয়ে নুন দিয়ে কষতে থাকুন। প্রেশারের ঢাকনা দিয়ে মাঝারি আঁচে ১৫ মিনিট রান্না করুন। মটর আগেই সেদ্ধ করা, তাই চারটের বেশি সিটির প্রয়োজন নেই। গরম গরম পরিবেশন করুন। তার আগে উপর থেকে ভাজা মশলা আর সামান্য পাতিলেবুর রস ছড়িয়ে দিতে ভুলবেন না। সঙ্গে অবশ্যই নারকেল নাড়ু দেবেন। ব্যাস জমজমাট বিজয়ার স্পেশ্যাল খানা।