Lakshmi Puja Special Recipe: মিষ্টি-কদমা-নাড়ু ছাড়া লক্ষ্মীপুজো ভাবাই যায় না! আজই বানান বাঙালি মিষ্টি ‘ক্ষীরকদম’
এখন একটা জিনিস সুবিধা বলা যেতে পারে, পুজোর সব মিষ্টিগুলি মিষ্টির দোকানে প্যাকেট আকারে বিক্রি হয। এ বারের পুজোয় যদি বাঙালির নিজস্বতা বজায় রাখতে চান, তাহলে এমনই এক মিষ্টির রেসিপি লক্ষ্মীপুজোতে বানিয়ে নিতে পারেন।
এসো মা লক্ষ্মী বোসো ঘরে… আমার এ ঘরে থাকো আলো করে… এই প্রার্থনা বাংলার ঘরে ঘরে করা হয় এই বিশেষ তিথিতে। এই দিন প্রতিটি বাঙালির বাড়িতেই লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। তবে লক্ষ্মীপুজোকে কেন্দ্র করে বাঙালির ঘরে ঘরে মিষ্টি তৈরি, নানারকম নিরামিষ ও সুস্বাদু খাবার তৈরি প্রচলন রয়েছে এখনও। লক্ষ্মীপুজো মানেই নাড়ু, মোয়া আর কদমা। নারকেল নাড়ু, চিনির নাড়ু, মুড়ির মোয়া, ক্ষীরের নৈবেদ্য ভোগ হিসেবে দেওয়া হয়। তবে এখন একটা জিনিস সুবিধা বলা যেতে পারে, পুজোর সব মিষ্টিগুলি মিষ্টির দোকানে প্যাকেট আকারে বিক্রি হয। এ বারের পুজোয় যদি বাঙালির নিজস্বতা বজায় রাখতে চান, তাহলে এমনই এক মিষ্টির রেসিপি লক্ষ্মীপুজোতে বানিয়ে নিতে পারেন। অত্যন্ত সহজ ও চটপট, জিভে জল আনা সুস্বাদু ক্ষীরকদম বানাতে কী কী লাগবে আগে দেখে নেওয়া যাক…
কী কী লাগবে
দুধ ১ লিটার, খোয়া ক্ষীর ২০০ গ্রাম, ভিনিগার হাফ কাপ. হলুদ বা লাল খাবার রং প্রয়োজনমতো, সুজি এক চামচ, ময়দা ১ টেবিলস্পুন, চিনি ১ কাপ, এলাচ ২/৩ টি, গুঁড়ো দুধ আন্দাজ মতো
কীভাবে বানাবেন
দুধ ফুটিয়ে তার মধ্যে ভিনিগার দিয়ে ছানা কেটে নিন। ছানা থেকে ভালোভাবে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। ছানার মধ্যে এক চামচ সুজি ও এক চামচ ময়দা দিয়ে অনেকক্ষণ ধরে ভালোভাবে ছানা মাখলে ছানা একদম নরম হয়ে যাবে। এর মধ্যে হলুদ বা লাল রং দিয়ে ভাল করে মাখুন। এর থেকে ছোট ছোট আকারের বল তৈরি করে রসগোল্লা বানান। সমপরিমাণ চিনি ও জল করাইতে বসিয়ে তার মধ্যে বল গুলি দিয়ে ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিন। বল গুলি ফুলে নরম হয়ে গেলে ও আকারে বেড়ে গেলে ঢাকনা সরিয়ে গ্যাস কমিয়ে বসিয়ে রাখুন। চিনির সিরা ফুটতে ফুটতে একদম বলের গায়ে লেগে যাবে। একটি পেটের মধ্যে চিনি ছড়িয়ে নিন এবং একটা করে বল গরম গরম তুলে সেই চিনির মধ্যে মাখিয়ে নিন। এগুলিকে এবার ঠাণ্ডা হতে দিন ঠাণ্ডা হয়ে গেলে এর ওপরের ভাগটা একটু হালকা করে হয়ে যাবে এবং ভিতরে নরম থাকবে।
এবার খোয়া ক্ষীর ভাল করে হাত দিয়ে নরম করে মেখে নিন। এর মধ্যে অল্প চিনি ও পরিমান মত দুধ দিয়ে একটি মন্ড তৈরি করুন। এবার হাতের মধ্যে অল্প করে খোয়া ক্ষীর নিয়ে তার মধ্যে একটি করে দানাদার বসাতে হবে। চারি দিক দিয়ে খোয়া ক্ষীর দিয়ে ভালোভাবে দানাদার গুলিকে মরে নিন যেন দানাদার দেখা না যায়। অল্প করে ঘি মাখন তারপরে ক্ষীরকদম গুলি হাতের মধ্যে একবার গোল পাকিয়ে নিয়ে গুঁড়ো দুধ, নারকেল পাউডার এর মধ্যে মাখিয়ে নিন। ফ্রিজে রেখে দিন কয়েক ঘণ্টা।
আরও পড়ুন: Lakshmi Puja Special: গঙ্গাজলি ছাড়া কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো অসম্ভব! রইল তার রেসিপি