বিকাল হলেই লাইন দেন মোমো, চাউমিনের দোকানে। আবার কারও পছন্দ চপ-মুড়ি। মুড়িতে ক্ষতি না থাকলে ডুবো তেলে ভাজা আলুর চপ আপনার কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। আর রোল, চাউমিন, চিকেন পকোড়া, ফুচকার মতো খাবারগুলোও রোজ-রোজ খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত নয়। এসব খাবারগুলোও খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। কিন্তু সন্ধে হলেই যে মুখরোচক খাবার খেতে মন চায়, তার কী করবেন? স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু দইবড়া খেতে পারেন।
বিউলির ডালের তৈরি বড়া সঙ্গে টক দই আপনার মুখের স্বাদ বদলে দিতে পারে। মাঝেমধ্যে মুখরোচক খাবার ইচ্ছা হলে বানিয়ে নিতে পারেন এই পদ। বিউলি ডালের বড়া বানাতে গেলেও তেলে ভাজতেই হয়। তবে তার সঙ্গে টক দই থাকে। তাই মাঝেমধ্যে সন্ধেবেলার জলখাবারে দইবড়া থাকলে কোনও ক্ষতি নয়। আর বাড়িতে বানালে আপনি তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সচেতন থাকবেন। শুধু বাড়িতে কীভাবে দইবড়া বানাবেন, সেটা জানতে হবে। তাই দইবড়ার রেসিপি রইল আপনার জন্য।
দইবড়া বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১ কাপ বিউলির ডাল, ১/২ চা চামচ জিরে গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ ধনে গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো, ২ কাপ টক দই, ১/২ চা চামচ চাট মশলা, ২ টেবিল চামচ ধনে পাতা ও পুদিনা পাতার চাটনি, ১/২ কাপ তেঁতুলের মিষ্টি চাটনি, এক মুঠো ঝুরি ভাজা, স্বাদমতো বিটনুন, পরিমাণমতো সাদা তেল।
দইবড়া বানানোর সহজ পদ্ধতি:
বিউলি ডাল ৮-১০ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর জল ঝেড়ে নিয়ে ডালটা মিহি করে মিক্সিতে বেটে নিন। কড়াইতে তেল গরম করুন। এবার ডাল বাটার থেকে ছোট ছোট বল করে নিয়ে গরম তেলে বড়া ভেজে নিন। খুব বেশি কড়া করে ভাজবেন না। বড়া ভাজা হয়ে গেলে ঝুরিতে তুলে রাখুন। কাগজের উপর রাখতে পারেন। কাগজ সমস্ত তেল শুষে নেবে।
একটি পাত্রে টক দই নিন। এতে নুন মিশিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। এবার দইবড়া সাজানো পালা। এই সাজানোর উপরই আপনাকে জোর দিতে হবে। তবেই দইবড়া হবে সুস্বাদু। থালার উপর বড়াগুলো সাজিয়ে রাখুন। এবার এই উপর ফেটিয়ে রাখা দইটা ছড়িয়ে দিন। এর উপর দিয়ে ধনে পাতা ও পুদিনা পাতার চাটনি ছড়িয়ে দিন। তারপর উপর দিয়ে দিন তেঁতুলের মিষ্টি চাটনি। একে-একে বিটনুন, ভাজা জিরে গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, চাট মশলা ছড়িয়ে দিন। শেষ দিন ঝুরি ভাজা। তৈরি দইবড়া।