শীতের দিনে খিদে একটু বেশিই পায়। আর শীতে ভাল মন্দ খাওয়া তুলনায় বেশি হয়। এছাড়াও শীতে ভাল-মন্দ খাওয়ার ইচ্ছে বাড়ে। পিঠেপুলি, কড়াইশুটির কচুরি, আলুর দম এসব হতেই থাকে বাড়িতে। কোনও খাওয়ারের প্রতি বিশেষ লোভ হলে তখনই সেই খাবার খেতে ইচ্ছে করে। এবার বেশি খাওয়া হয়ে গেলে রাতে মোটেই ঘুম আসতে চায় না। আর হজমের সমস্যা হলে ঘুম আসতেও দেরী হয়। আর তাই শীতের রাতে কিছু খাবার থাকে যা এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। কারণ শীতে সংক্রমণ জনিত বিভিন্ন সমস্যাও বাড়ে। আর তাই যে সব খাবার শীতে একেবারেই এড়িয়ে চলবেন তা হল-
টমেটো- ঘুমনোর আগে টমেটো না খাওয়াই ভাল। টমেটোর মধ্যে অম্লত্ব বেশি থাকায় তা টক হয়। টমেটোর মধ্যে থাকে টাইরামিন। আর তাই টমেটো খেলে হজমের সমস্যা হয়। বদহজম হলে ঘুমও দেরিতে আসে। টমেটোর মধ্যে থাকে এক ধরণের অ্যামিনো অ্যাসিড। যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ বাড়ায় এবং ঘুমে বাধা দেয়।
ব্রকলি- শীতেই সবচাইতে বেশি ব্রকোলি পাওয়া যায়। ব্রকোলি আর ফুলকপির মধ্যে ট্রিপটোফেন থাকে যা ঘুমোতে সাহায্য করে। তবে এই সবজিটি কাঁচা খেলে সেখান থেকেও সমস্যা হতে পারে। ব্রকলির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যে কারণে তা হজম হতে বেশি সময় লাগে। রাতে তাই ফুলকপির তরকারি কিংবা ব্রকোলির স্যুপ খাবেন না।
মশলাদার খাবার- যে কোনও মশলাদার খাবার বদহজম আর অ্যাসিডিটি ঘটাতে বাধ্য। শীতের রাতে মশলাদার খাবার খেতে বেশি ইচ্ছে করে। এই সব খাবার খেলে বুক, গলা জ্বালা করতে থাকে। মশলাদার খাবার খেলে তাই গরম বেশি লাগে। ফলে ঘুমের উপরেও সেই প্রভাব পড়ে।
চিকেন- এই এমন একটি খাবার যা যখন দেওয়া হয় তখনই খেতে ইচ্ছে করে। কাবাব, তন্দুরি, ঝাল, ঝোল যে ভাবে খুশি বানিয়ে খাওয়া যেতে পারে। চিকেনের মধ্যে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন থাকে। থকে অ্যামাইনো অ্যাসিড টাইরোসিন যা মস্তিষ্কের কার্যকলাপ বাড়িয়ে দেয়। ঘুমের সময় শরীর শান্ত রাখা দরকার।
পনির- পনিরের মধ্যেও থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড টাইরামাইন। যা মস্তিষ্ককে দীর্ঘ সময় সক্রিয় রাখে। এছাড়াও থাকে প্রোটিন। মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকা মোটেও কাজের কথা নয়। আর তাই পনির এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।