রবিবারের পর সোমবার আসলেই সব ভাবনা এলোমেলো হয়ে যায়। আবার সেই এক রুটিন। কাজে মন বসাতেও ভীষণ কষ্ট হয়। এরপর যদি ভাবতে হয় সারাদিনে কী খাবো , কী হবে মেনুতে তখন কার আর মাথা ঠিক থাকে। এদিকে আবার ভালমন্দ কিছু না খেলে মনও ভাল থাকে না। পাতে প্রোটিন, ফ্যাট, কার্বোহাইট্রেট সমপরিমাণে রাখতে হবে। শনি-রবি যেহেতু সকলের বাড়িতেই জমাটি খাওয়া-দাওয়া হয় তাই এইদিন সকালে সকলে একটু হালকা খাবারই খেতে পছন্দ করেন। সোমবার থেকে ব্যস্ত রুটিন, কাজের চাপ বেশি থাকায় খাওয়া বুঝে করতে হবে।
বেশি খেলে বদহজমের আশঙ্কা থাকে। তাই এদিন সকালে নিরামিষ খান। নিরামিষ মানেই এই নয় যে শুধু পনির খেতে হবে। আরও অনেক রকম তরকারি হয়। তাই রইল এই মুগ ডাল মোচার রেসিপি। এর সঙ্গে একটু স্যালাড আর বেগুন ভাজা বানিয়ে নিলেই জমজমাট লাঞ্চ। পাতে একটু গন্ধরাজ লেবু রাখতে ভুলবেন না যেন। ভাত একদম অল্প খেয়ে তরকারি বেশি করে খান। এতে ওজনও ঝরবে তাড়াতাড়ি।
মুগডাল ভেজে জলে ৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এরপর জল ঝারিয়ে শুকনো করে নিতে হবে। মোচা কুচি করে কেটে নিতে হবে। আলু ডুমো করে কেটে নিন। মোচা কাঁচা সরষের তেল দিয়ে সেদ্ধ করে জল ঝরিয়ে নিতে হবে। ডাল বেশ ঝুরো ঝুরো হবে। আদা, কাঁচালঙ্কা লাগবে। কড়াইতে সরষের তেল, শুকনো লঙ্কা তেজপাতা দিয়ে গোটা জিরে, এলাচ, দারচিনি ফোড়ন দিন। এরপর আলু দিয়ে ভাজা ভাজা করে নিতে হবে। আদা কাঁচালঙ্কা বেটে নিয়ে মিশিয়ে দিন এক বড় চামচ। এবার ডাল দিতে হবে।
ডাল ভাল করে মিশলে গুঁড়ো মশলা যেমন একচামচ জিরে, ধনে, হলুদ, স্বাদমতো নুন-চিনি দিন। এই রান্নায় চিনি একটু বেশিই পড়বে। মশলা কষে এলে মোচা দিয়ে ভাজা ভাজা করে দু চামচ নারকেল কোরা দিন। না থাকলে নারকেলের দুধ দিতে পারেন ছোট এক বাটি। নাড়তে নাড়তেই এক চামচ ঘি, গরম মশলা ছড়িয়ে দিন। রান্নাটা বেশ মাখো মাখো হবে। ডাল সেদ্ধ হলে সব ভাল করে মিলেমিশে গেলে গ্যাস অফ করুন। গরম ভাতের সঙ্গে দারুণ লাগে এই তরকারি।