Detox Drink: এক ঝটকায় শরীর থেকে যাবতীয় টক্সিন বের করে দেবে এই পানীয়, জানুন কীভাবে খাবেন
How To Detox Body Naturally: আপেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। থাকে ফ্ল্যাভিনয়েডও
সুস্থ থাকার জন্য শরীরে সঠিক পরিমাণে পুষ্টির প্রয়োজন। আর শরীর পুষ্টি পায় রোজকার খাবার আর পানীয় থেকে। কিন্তু শরীরে কোনও সমস্যা হলে, শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে গেলে তখন খুব মুশকিল হয়। শরীর থেকে দূষিত পদার্থ ঠিক সময়ে না বেরোলে তা শরীরেই জমতে থাকে। দিনের পর দিন দূষিত রেচক জমে যাওয়া মোটেই কাজের কথা নয়। ওষুধের সাহায্যেও ডিটক্সিফিকেশন করা যায় তবে প্রাকৃতিক উপায়ে ডিটক্সিফিকেশন হলে তার চেয়ে ভাল আর কিছুই হয় না। শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যেতে পারলে রক্তও শুদ্ধ হয়। সেই সঙ্গে মন ভাল থাকে, হরমোনের মধ্যেকার ভারসাম্য বজায় থাকে। হজম ঠিকমতো না হলে, ডিটক্সিফিকেশন না হলে কিডনি, ফুসফুস, লিভারের সমস্যা লেগেই থাকে।
কেন শরীরের জন্য ডিটক্সিফিকেশন প্রয়োজন?
শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়ার জন্যই প্রয়োজন ডিটক্সিফিকেশনের। এতে শরীর ভিতর থেকে সুস্থ থাকে, মন ভাল থাকে। হরমোনের মধ্যেকার ভারসাম্য বজায় রাখতে, ঘুমের উন্নতিতে, হজমক্ষমতা বাড়াতে, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে ডিটক্সিফিকেশন প্রয়োজন। কিডনি, লিভার ঠিকভাবে কাজ করে যদি শরীর ঠিক ভাবে এই ডিটক্সিফিকেশনের প্রক্রিয়া চালায়। আর তাই কোনও ওষুধ নয়, প্রাকৃতিক উপায়েই শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করুন।
ধনে জল- রোজ রাতে এক বড় চামচ ধনে নিয়ে একগ্লাস মাপের জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ছেঁকে খান। মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে ধনে। শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন ঠিক রাখতেও কাজে আসে ধনে। সেই সঙ্গে লিভারকে ভাল রাখতে জুড়ি মেলা ভার ধনের। ধনে ফুটিয়ে ছেঁকেও খেতে পারেন।
আপেল-দারুচিনির জল- আপেলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। থাকে ফ্ল্যাভিনয়েডও। তাই দারুচিনি গুঁড়ো করে জলে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে ঠান্ডা করে ওর মধ্যে আপেল স্লাইস করে ফেলে দিন। এতে রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে থাকে সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতাও বাড়ে।
শসা, পুদিনা, আদা, লেবুর জল- হজম ক্ষমতা বাড়াতে, পেট পরিষ্কার রাখতে, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে খুবই কার্যকরী আদা, লেবু। শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে দারুণ কাজ করে এই জল। এক লিটার জলে পুদিনা পাতা, আদার স্লাইস, লেবুর স্লাইস, শসার স্লাইস করে জলে ফেলে দিন। আদা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় সেই সঙ্গে হজমও ভাল হয়। শসার মধ্যে প্রায় ৯৬% জল থাকে। যা শরীরে জলের চাহিদা মেটায়। রোজ এই জল খেতে পারলে পেটও থাকে পরিষ্কার।