শীত পড়তেই বাজার ভরে গিয়েছে সবুজ আনাজ আর শাকে। পালংশাক থেকে শুরু করে বাঁধাকপি সবই পাওয়া যাচ্ছে এখন। এমনকী পাঞ্জাবিদের প্রিয় ‘সরসো দা সাগ’ও মিলছে বাজারে। যদিও বাঙালির রান্নাঘরে গোটা সর্ষে আর সর্ষে তেল চিরসাথী। আর এই শীতে যদি সর্ষে শাককে পাতে রাখেন, তাহলে আরও উপকার মিলতে পারে। সর্ষে শাকের মধ্যে ভিটামিন কে, সি এবং বি৬ রয়েছে। এছাড়াও এই শাকের মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। শীতে এই শাক খেলে শরীরে পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হতে পারে।
ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরলের রোগীরাও সর্ষে শাক খেতে পারেন। সর্ষে শাকের মধ্যে ফাইবার রয়েছে। এটি উপাদানটি কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাকে চট করে বাড়তে দেয় না। এছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে সর্ষে শাক। আপনিও যদি শীতে এই সব সমস্যায় ভোগেন তাহলে ডায়েটে সর্ষে শাক রাখতে পারেন। কীভাবে সর্ষে শাকের চচ্চড়ি বানাবেন, দেখে নিন…
সর্ষে শাক রান্না করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
৭৫০ গ্রাম সর্ষে শাক, ২৫০ গ্রাম পালং শাক, ২৫০ গ্রাম বেতে শাক, ২ কাপ জল, দেড় কাপ ভুট্টার আটা, ৪টে কাঁচা লঙ্কা, ১ ইঞ্চি আদা, ২টো পেঁয়াজ, ৬ কোয়া রসুন, ১০০ গ্রাম ঘি, আধ চা চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো, আধ চা চামচ গরম মশলার গুঁড়ো, আধ চা চামচ ধনে গুঁড়ো।
সর্ষে শাক রান্না করার সহজ পদ্ধতি:
প্রথমে তিন রকম শাক পরিষ্কার করে ধুয়ে নিন। এবার তিন রকম শাকই একসঙ্গে প্রেসারে জল ও নুন দিয়ে সেদ্ধ করতে বসান। কম আঁচে রেখে সেদ্ধ করবেন। শাক সেদ্ধ হয়ে গেলে জল ঝরিয়ে নেবেন। এবার শাকগুলো ম্যাশ করে নিন। এর মধ্যে সামান্য ভুট্টার আটার মিশিয়ে নিন। এতে শাকে ঘনত্ব আসবে।
এবার কড়াইতে সামান্য ঘি গরম করুন। এতে শাকটা দিয়ে দিন। একদম কম আঁচে রেখে রান্না করবেন। এবার এতে কাঁচা লঙ্কা ও আদা দিয়ে দিন। শাক যতক্ষণ না ঘন হয়ে আসছে ক্রমাগত নাড়তে থাকুন।
এবার অন্য একটি কড়াইতে ঘি গরম করুন। এতে পেঁয়াজ কুচি, রসুন ও আদা কুচি, লাল লঙ্কার গুঁড়ো, গরম মশলার গুঁড়ো ও ধনে গুঁড়ো দিয়ে নেড়ে নিন। পেঁয়াজ বাদামি না হওয়া অবধি ভেজে নেবেন। এরপর এই মিশ্রণটি শাকের সঙ্গে মিশিয়ে নিন। উপর দিয়ে এক চামচ ঘি ছড়িয়ে দিন। ব্যস তৈরি সর্ষে শাক। রুটি দিয়ে খেতে পারেন শাকের এই পদ।