আগেকার দিনে গরমের দিনে বাড়িতে কোনও অতিথি এলে প্রথমেই দেওয়া হত একগ্লাস ঠান্ডা শরবত আর সঙ্গে একটা মিষ্টি। এই শরবতের প্রচলন কিন্তু প্রথম হয়েছিল ঠাকুরবাড়িতে। নানা স্বাদের শরবত বানানো হত বাড়িতে। আম, লিচু, তালশাঁস থেকে ডাব বাদ পড়তনা কিছুই। এছাড়াও নুন, চিনি লেবুর শরবত, গোলাপ জলের শরবত এসব তে ছিলই। এখনও নববর্ষের দিনে যে কোনও খাবার পরিবেশনের আগে বিভিন্ন রেস্তোরাঁতেও পরিবেশন করা হয় শরবত। আর সেই তালিকায় এগিয়ে গন্ধরাজ ঘোল। কিন্তু বাড়িতে বানানো এই সব শরবতের পরিবর্তে বেশিরভাগেরই পছন্দ বোতলবন্দি ঠান্ডা পানীয়। এমনও কিছু মানুষ আছেন যাঁদের ফ্রিজের জল ছাড়া যেমন এক মুহূর্ত চলে না তেমনই কিন্তু কোল্ড ড্রিংক ছাড়া গরমে মন ভাল হয় না।
বাজারের এই লোভনীয় বোতলবন্দি ঠান্ডা পানীয় যে আমাদের শরীরের জন্য কতখানি ক্ষতিকারক তা সকলেই জানেন। কিন্তু তাও বাড়িতে অতিথি এলে সকলেই তার আগে কোল্ড ড্রিংক এনে মজুত করেন ফ্রিজে। কিছু মানুষের কাছে বাড়িতে কোল্ড ড্রিংক হল একরকম বিলাসিচতার ইঙ্গিত। অর্থাৎ তাঁদের মনে হয় বাড়ির অতিথিকে কোল্ড ড্রিংক না খাওয়াতে পারলে বুঝি তাঁর সামনে নিজের মান ক্ষুণ্ণ হয়। আর এই মানসিকতা থেকেই কিন্তু কোল্ড ড্রিংক খাওয়ার চল বেড়েছে। বেড়েছে বিক্রিও। সেই সঙ্গে আসছে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। ডায়াবিটিস, ওবেসিটির সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। তাই নিজে সুস্থ থাকচে এবং অপরকে সুস্থ রাখতে কিন্তু আজ থেকেই বাড়িতে আনা বন্ধ করুন কোল্ড ড্রিংক। কোল্ড ড্রিংক আর মিষ্টি কখনই একসঙ্গে খাবেন না। বরং বাড়িতে ডাবের জল দিয়েই বানিয়ে নিন এই কয়েকটি পানীয়। খেতেও ভাল লাগে তেমনই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
ডাব-বাসিল ড্রিংক- বাসিল সিডস হাফ কাপ জলে ভিজিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার একটা গ্লাসে প্রথমে লেবুর স্লাইস দিয়ে দিন। এবার ওর মধ্যে ১০ টা তুলসি পাতা ফেলে দিন। এবার দু চামচ বাসিল সিডস ফেলে দিন গ্লাসের মধ্যে। এবার ডাবের জল দিয়ে গ্লাস ভরে ফেলুন। পরিবেশন করার আগে গ্লাসের চারপাশে লেবুর রস আর নুন মাখিয়ে নিন। এতে রক্ত শর্করার মাত্রাও থাকে নিয়ন্ত্রণে।
ক্লাসিক লেমোনেড- গ্লাসে ডাবের জল ভর্তি করে নিন। এবার ওর মধ্যে হাফ চামচ লেবুর রস, এক চামচ মধু, ব্ল্যাক সল্ট আর ব্ল্যাক পেপার মিশিয়ে নিন। সব কিছু ভাল করে মিশিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন।
ডাব-অরেঞ্জ- হাফ কাপ অরেঞ্জ জুস, হাফ কাপ সোডা আর হাফ কাপ ডাবের জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে আইস কিউব মিশিয়ে দিন।