বহু জাতি-ধর্মের বাস ভারতে। তাই পালা-পার্বণও প্রতিমাসে লেগেই থাকে। হাজারো জাতির হাজোর সংস্কৃতি। রয়েছে নানান অনুষ্ঠান, নিয়ম কানুন, খাদ্যাভাস। বাঙালির হেঁসেলে কোনও কিছুই বাদ যায় না। গুড়ি পারওয়া, রমজানের মাস শুরুর পর থেকেই নানান পদের স্বাদ গ্রহণ করা বাঙালির কাছে কতকটা এক্সপেরিমেন্টের মতন। তবে সেই স্বাদ চাখার পরই লোভীয়য় সব খাবার বাড়িতে বানানোর একটা কৌতূহল জন্মায়।
সামনেই শুরু হতে চলেছে রমজান মাস। তাই এবার চতুর্দিকে কাবাব, হালিম, বিরিয়ানি ছাড়াও কত রকমের শিমাই, হালুয়া, ফিরনি, মিষ্টির পদ সাজানো থাকবে, তার কোনও ইয়োত্তা নেই। রমজানের সময় শিমাই অনেক রকমভাবে তৈরি করা হয়। তার মধ্যে শির খুরমা একেবারে অন্যরকম। ফার্সি ভাষার এর অর্থ হল দুধ ও খেজুরের পদ। আরও অনেক কিছুই মেশানো হহয় এই পদে। ফলে স্বাদে হয়ে ওঠে অতুলনীয়। রমজান মাসে বাড়িতে বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়রা এলে চটপট বানিয়ে দিতে পারেন এই সুস্বাদু শির খুরমা। কীভাবে করবেন, কী কী উপকরণ লাগবে, তা দেখে নিন একনজরে….
উপকরণ
১ লিটার ফুল ক্রিম দুধ,
২০০গ্রাম কনডেন্সড মিল্ক,
১০০গ্রাম ভালো মানের খেজুর,
পেস্তা, কাজুবাদাম, কিসমিস,
১৫০ গ্রাম সিমাই,
৪টি ছোট এলাচ,
কেশর (একচিমটি)
১০০গ্রাম চিনি,
৫০ গ্রাম ঘি
পদ্ধতি
আভেনে একটি কড়াইয়ে এক লিটার দুধ বসিয়ে গরম করতে দিন। মাঝারি আঁচে দুধ ফুটতে দিন। দুধ ফুটতে শুরু করলে তাতে এলাচ দিয়ে দিন। ফুটন্ত দুধের মধ্যে চিনি ও খেজুর (বীজ ছাড়িয়ে) দিয়ে দিন। মাঝে মাঝে হাতা দিয়ে নেড়ে দেবেন। কিছুক্ষন ফোটার পর দেখবেন দুধ এর রঙ খেজুর ও চিনির ক্যারামালাইজ হওয়ার কারণে হালকা ব্রাউন লাগছে। দুধ ফুটে ঘন হতে থাকে তালে কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে দিন। এরপর বারে বারে নাড়তে থাকুন।
এবার অন্য একটি আভেনে অন্য একটি কড়াই বসিয়ে পরিমাণ মত ঘি দিয়ে একটু গরম করতে দিন। বেশি গরম করবেন না। এবার একে একে কাজু , কিশমিশ , পেস্তা কুচি গুলি ঘিতে হালকা ভেজে সেমাইগুলি দিয়ে দিন। খুব ভালো করে নাড়াচাড়া করে ভাজুন সেমাই গুলি। মিনিট পাঁচেক পর সেগুলি ফুটন্ত দুধের পাত্রের মধ্যে মিশিয়ে দিয়ে দশ মিনিট ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। ঘন হয়ে গেলে একটি সুন্দর বাটিতে ঢেলে নিন। গরম গরম খেতে পারেন, আবাপ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা হলে তাতে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিতে পারেন। উপরে একট কেসর ছড়িয়ে দিতে পারেন।
আরও পড়ুন: Recipe: গরমে আমের পদ তো থাকবেই, তবে স্পেশাল দিনের জন্য বানান আনারস পোড়ার শরবত