Side Effects Of Ajwain Seeds: একটা সময় ছিল যখন দিদা-ঠাকুমারা বাড়িতেই বানাতেন মশলা দেওয়া জোয়ান। প্রাচীন কাল থেকেই ভারতীয় হেঁশেলে গুরুত্ব রয়েছে এই মশলার। জোয়ানের সঙ্গে নুন আর লেবুর রস মাখিয়ে রোজে জারিয়ে বিশেষ উপায়ে তা বানানো হত। এই জোয়ান যেমন রান্নায় ফোড়ন হিসেবে ব্যবহার করা হত তেমনই হজমের সমস্যা থেকে মুক্তি দিতেও দারুণ উপকারী। জোয়ানের উৎপত্তি স্থল কিন্তু ভারতই। সবুজ রঙের বিশেষ একটি গাছের বীজ এই জোয়ান যে গাছ সংস্কৃতে উগ্রগন্ধা হিসেবে পরিচিত। জোয়ানের মধ্যে খনিজ, ভিটামিন, ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট-সহ একাধিক উপাদান থাকে। জোয়ান চিবিয়ে খেতে পারলে সবথেকে ভাল। এছাড়াও অনেকে কিন্তু ডায়ের সঙ্গেও খেয়ে থাকেন। কেউ খান জোয়ান ভেজানো জলও।
সব ভারতীয়ের হেঁশেলেই কৌটো বন্দি থাকে জোয়ান। বিশেষত বিভিন্ন ডালের স্বাদ ফেরে এই জোয়ানের গুণেই। কিন্তু অতিরিক্ত জোয়ানও না খাওয়া ভাল। অনেকের কাছে যে কোনও মুখশুদ্ধি নেশার মত। তা মৌরি হোক বা জোয়ন। কৌটো থেকে মুখে নিয়ে প্রায়শই চেবাতে থাকেন। আর এভাবে জেয়ান খাওয়া কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। হবে হিতে বিপরীত। আসবে একাধিক সমস্যা।
1.যাঁরা দীর্ঘমেয়াদি গ্যাস, অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা দিনের মধ্যে অন্তত দুবার একগ্লাস গরম জলের সঙ্গে জোয়ান খাওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেন। কিন্তু এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়। এতে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমার পরিবর্তে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মত সমস্যা শরীরে চেপে বসে। ফলে প্রায়শই গ্যাসের সমস্যা, পেটফাঁপা এসব হয়।
2.অনেকেরই জেয়ানে অ্যালার্জি থাকে। তাঁরা যদি ভুল করে জোয়ান খেয়ে ফেলেন তাহলে মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব এসব সমস্যা হতে পারে।
3.জোয়ানের বীজের মধ্যে বেশ কিছু বায়ো অ্যাকটিভ যৌগ রয়েছে যা মুখের মধ্যে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। জোয়ান চিবিয়ে খেলে মুখে একটা জ্বালা ভাব থাকেই। আর এই অতিরিক্ত জ্বালাভাব মুখে একাধিক ক্ষত তৈরি করতে পারে। যেখান থেকে হতে পারে আসলারের সমস্যা।
4.যাঁরা গর্ভবতী, তাঁদের এই জোয়ান এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কারণ জোয়ান গর্ভস্থ ভ্রূণের বিকাশে বাধা দেয়।
তবে হজমের সমস্যা থাকলে এক কাপ জলে তালের পাটালি আর জোয়ান দিয়ে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে খান। এতেও কিন্তু মিটবে ব্লোটিং বা গ্যাসের সমস্যা।
আরও পড়ুন: Water-Rich Fruits: গরমে ঘাম বেরিয়ে ক্লান্ত? ডায়েটে রাখুন এই ফল…