Water-Rich Fruits: গরমে ঘাম বেরিয়ে ক্লান্ত? ডায়েটে রাখুন এই ফল…
Summer Fruits: গরমের দিনে প্রচুর পরিমাণ জল খান। সেই সঙ্গে রোজকাক ডায়েটে ডাবের জল, শসা, তরমুজ এসবও কিন্তু রাখতে ভুলবেন না। নইলে এখান থেকে হতে পারে একাধিক সমস্যা
গরমের হাত থেকে আপাতত নিস্তার নেই। তাপমাত্রা যে ভাবে বাড়তে শুরু করেছে এবং বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ এতটাই বেশি যে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে আর্দ্রতা জনিত অস্বস্তি। সেই সঙ্গে অকিরিক্ত ঘাম, ডিহাইড্রেশনের সমস্যা এসব তো আছেই। আর তাই গরমে শরীরকে কুল রাখতে হলে বেশি করে জল খেতেই হবে। সেই সঙ্গে হালকা খাবার, ডাবের জল, স্যুপ, ফ্রেশ ফল এসব খেতে হবে। বাইরের কাটা ফল কিন্তু একেবারেই চলবে না। গরমের দিনে প্রচপর পরিমাণ জল, শাকসবজি এসব অবশ্যই রাখুন ডায়েটে। কম জল খেলেই সেখান থেকে হতে পারে বিপত্তি। শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গেলে জীবন সংকট পর্যন্ত দেখা দিতে পারে। এমন ফল রাখুন যাতে জলের পরিমাণ বেশি। এছাড়াও বানিয়ে খান জুস, স্মুদি।
গ্রীষ্মকালে এই কয়েকটি ফল পাওয়া যায় যা আমাদের ফল খাওয়ার চাহিদা আরও বাড়িয়ে তোলে। এই তালিকায় রয়েছে আম, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি। এই সব ফল যেমন খেতে ভাল লাগে তেমনই ফল দিয়ে সহজেই স্মুদি, আিসক্রিম, এসবএ কিন্তু বানানো যায়। আর তাই দেখে নিন গরমের দিনে কোন কোন ফল অবশ্যি খাবেন
আম- ফলের রাজা আম। আর এই আম কিন্তু একমাত্র গরমেই পাওয়া য়ায়। আমের মধ্যে রয়েছে একাধিক খনিজ, ভিটামিন, পুষ্টি। এছাড়াও মিল্কশ্ক থেকে আইসক্রিম- যে কোনও কিছুই বানানো যায় আম দিয়ে। আর তাই গরমের দিনে সব বাড়িতে যা খাওয়া হবেই তা হল আম। কাঁচা আম দিয়েও টক, ঝোল এসব বানানো হয়।
তরমুজ- তরমুজের মধ্যে ৯২ শতাংশই হল জল। সেই সঙ্গে তরমুজের মধ্যে রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্যকর উপাদান। হার্টের সমস্যা দূরে রাখতে সাহায্য করে তরমুজ। এছাড়াও অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরি করতেও ভূমিকা রয়েছে এই তরমুজের।
আনারস- আানারসের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও আছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হাড়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কিন্তু ভূমিকা রয়েছে আনারসের।
আপেল- কতায় বলে রোজ একটা করে আপেল খেলে যাবতীয় সমস্যা থেকে দূরে থাকা যায়। আপেলের মত সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর ফল কিন্তু দুটো নেই। আর তাই স্যালাড, স্মুদি কিংবা ডেজার্টে আপেল খেতে ভুলবেন না। এতে বিপাক হার বাড়ে, হৃদরোগের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায় রক্ত শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে। দাঁত , হাড় এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে কাজ করে।
পেঁপে- পেঁপের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। আছে ফাইবার, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। ডায়েটে পেঁপে রাখলে ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধার কোনও সম্ভাবনা থাকে না। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য খুব ভাল এই পেঁপে। এছাড়াও ভিটামিনের দারুণ উৎস হল পেঁপে।