রবিবার মানেই যে কোনও বাড়িতেই চলে জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া। মেনুতে চিকেন, মটন, মাছ কত কিছুই না থাকে। রবিবার মানেই সকলে যেন একটু বাঁধনছাড়া। সকালে ঘুম ভাঙতে দেরি, স্পেশ্যাল ব্রেকফাস্ট, গড়িমসি করে সপ্তাহের বাজার সেরেই অপেক্ষা লাঞ্চের জন্য। রবিবারের সিগনেচার ডিশ মাংস আর ভাত। সেই মাংসেও থাকে ট্যুইস্ট। কোনওদিন চিকেন কষা হলে অন্যদিন দই-চিকেন বা গন্ধরাজ চিকেন। তবে এমন বর্ষার আবহাওয়াতে অনেকেই আজ বাড়িতে ইলিশ খাচ্ছেন। কারোর পছন্দ চিংড়ি। ইলিশ আর চিংড়ি নিয়ে বাঙালির ঝগড়া চিরন্তন, কিন্তু পাতে পরলে চেটেপুটে সাফ। তাই রবিবারের মেনুতে আজ হোক একটু বদল। চিংড়ি ভাপা, ডাব ডিংড়ি কিংবা মালাইকারির পরিবর্তে বানিয়ে নিন গন্ধরাজ চিংড়ি। এই চিংড়ি খেতে ভাল লাগে তেমনই রান্নাও হয় অল্প সময়েই। গরম ভাতে এই চিংড়ি খেতেও লাগে অপূর্ব। তবে গন্ধরাজ চিংড়ি রান্নার সময় উপকরণ কিন্তু মেপে ব্যবহার করতে হবে। নইলে স্বাদ পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যা কিছু লাগছে
চিংড়ি মাছ- ৫ টি ( বড় মাপের)
গন্ধরাজ লেবু- ১ টা
পেঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
নারকেল বাটা
নারকেলের দুধ
গোলমরিচের গুঁড়ো
কাঁচা লঙ্কা
স্বাদমতো মিষ্টি
সরষের তেল
যে ভাবে বানাবেন
চিংড়ি মাছ ভাল করে পরিষ্কার করে ওর মধ্যে ১ চামচ গন্ধরাজ লেবুর রস, লেবুর জেস্ট, স্বাদমতো নুন আর গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে ম্যারিনেট করে রাখুন ৩০ মিনিট। এবার কড়াইতে ৩ বড় চামচ সরষের তেল দিয়ে মাছ হালকা ব্রাউন করে ভেজে নিন। মাছ তুলে নিয়ে ওই তেলের মধ্যেই তেজপাতা, ৫ টা গোটা গোলমরিচ, ৩ টে কাঁচালঙ্কা ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাটা দিন বড় ২ চামচ। এবার তা ভাল করে কষিয়ে নিয়ে ২ চামচ আদা-রসুনের পেস্ট দিন। স্বাদমতো নুন, চিনি, ১ চামচ গোলমরিচের গুঁড়ো আর ৩ বড় চামচ নারকেল বাটা মিশিয়ে কষাতে থাকুন। কষে এলে এক কাপ নারকেলের দুধ দিন। এই রান্নায় কিন্তু কোনও জল পড়বে না। স্বাদেও একটু মিষ্টি হলে খেতে ভাল লাগে। দুধ দিয়ে নেড়ে চেড়ে চিংড়ি মাছ ছেড়ে দিন। ৩-৪ মিনিট ফুটিয়েই বন্ধ করে দেবেন। উপর থেকে গন্ধরাজ লেবুর পাতা ছড়িয়ে দিন অথবা ২ টো স্লাইস লেবু ফেলে দিন। এবার পরিবেশনের ঠিক আগে মাছের উপর সামান্য গন্ধরাজ লেবুর রস ছড়িয়ে দিন। এই লেবুর রস গরম অবস্থায় ছড়াবেন না কিংবা আগে থেকে ছড়িয়ে রাখবেন না। এতে তেতো ভাব আসতে পারে। লেবুর জেস্টও মেপে ব্যবহার করবেন।