শরীর সুস্থ রাখতে ভাল করে খাবার খেতেই হবে। আর সেই তালিকায় সবথেকে বেশি গুরুত্ব প্রায় প্রোটিন। পেশি থেকে শুরু করে কোষ- প্রত্যেকের বৃদ্ধির জন্যই কিন্তু প্রোটিন প্রয়োজন। এছাড়াও হাড়, ত্বক, চুল সবেতেই থাকে প্রোটিন। প্রোটিন আমাদের শক্তি বাড়ায়, সঙ্গে শরীরের সর্বত্র রক্ত সঞ্চালনেও সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীরের সর্বত্র অক্সিজেন যুক্ত রক্ত সরবরাহ হয় এই প্রোটিনের মাধ্যমেই। এছাড়াও প্রোটিন আমাদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সাহায্য করে, রোগ সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে কোষগুলিকে সুস্থ রেখে নতুন কোষ গঠনেও সাহায্য করে। প্রোটিনের মধ্যে থাকে অ্যামাইনো অ্যাসিড, এই অ্যাসিড গঠনেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে প্রোটিনের।
তাই রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন না পেলে পেশির ক্ষতি হয়। সেখান থেকে দেখা দেয় গুরুতর কিছু স্বাস্থ্য সমস্যাও। চাহিদার নিরিখে ৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের দৈনিক প্রোটিনের চাহিদা ১৩ গ্রাম, ৪ বছরের উপর শিশুদের ১৯ গ্রাম, ৯ থেকে ১৩ বছরের জন্য ৩৪ গ্রাম, ১৪ বছরের বেশি মহিলাদের জন্য ৪৬ গ্রাম, ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সী ছেলেদের জন্য ৫২ গ্রাম, ১৯ বছরেক ঊর্ধ্বে ৫৬ গ্রাম প্রোটিনের প্রয়োজন হয়। প্রোটিন শরীরে না গেলে সমস্যা হতে পারে অনেকরকম। তাই পুষ্টিবিদ শিখা আগরওয়াল দিচ্ছেন বিশেষ পরামর্শ। এভাবে রোজ খাবার খেলে শরীরে হবে না প্রোটিনের ঘাটতি।
ডিমের চাট- রোজ একটা করে ডিম সেদ্ধ খেতে পারলে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ হয় ১৫ শতাংশ পর্যন্ত। এছাড়াও ডিমের মধ্যে থাকে ফোলিক অ্যাসিড, ভিটামিন ই, কে, এ এবং ভিটামিন বি। ডিম সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার তা পিস পিস করে কেটে ওর মধ্যে গোলমরিচের গুঁড়ো, পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি সামান্য নুন মিশিয়ে বানিয়ে নিন চাট। এতে খেতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই কিন্তু মুখের স্বাদও ফিরবে।
সয়াবিনের কিমা- নিরামিষ সয়াবিনের কিমা বানিয়ে নিতে পারবেন বাড়িতেই। সেই সঙ্গে এর মধেযে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিও। সয়াবিন সিদ্ধ করে কিমা বানিয়ে নিন। এবার পেঁয়াজ, রসুন, আদা, টমেটো আর লঙ্কা দিয়ে কষিয়ে রান্না করুন। এতে খেতেও ভাল লাগে আর স্বাদে আসে পরিবর্তন।
মুগ ডালের চাট- মুগ ডাল ভাজা এখন বাজারে প্যাকেটে কিনতে পাওয়া যায়। যদিও এর মধ্যে তেল বেশি থাকে তবে খেতে বেশ লাগে। বাড়িতে কেউ এলে চটজলদি এই মুগ ডালের সঙ্গে পেঁয়াজ কুচি, লঙ্কা কুচি, শসা, ধনেপাতা, টমেটো আর চাট মশলা দিয়ে বানিয়ে নিতে পারেন। তবে সবচাইতে ভাল যদি বাড়িতে সবুজ মুগ ভিজিয়ে রেখে এই চাট বানিয়ে নিতে পারেন।
ডিমের ভুর্জি- ডিমের ভুর্জি দিয়ে রুটি খেতে অনেকেই খুব পছন্দ করেন। তাই ডিমের মধ্যে পেঁয়াজ, শসা, টমেটো কুচি দিয়ে বানিয়ে নিন এই ভুর্জি। কোনও মাল্টিগ্রেন টোস্ট বা পাঁউরুটির সঙ্গে খেতে পারেন এই ভুর্জি।