আলমারি থেকে সেদিন প্রিয় জিন্সটা বের করেই মন খারাপ পুজার। মাত্র ৫ মাস আগের কেনা জিন্স কিছুতেই কোমরে ফিট করছে না। কেনার পর থেকে হাতে গুণে মাত্র ১ বার পরেছে। এমন অবস্থা হলে শুধু পুজা হয়, সবারই হার্ট ব্রেক হয়। আসলে এই অতিরিক্ত ফ্যাট, ওজনের জন্য সম্পূর্ণ ভাবে দায়ী আমাদের রোজকার কাজ। সারাদিন একটানা বাড়িতে বসে কাজ করার ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে শরীরে। ওজন তো বাড়ছেই সঙ্গে আসছে বিভিন্ন হরমোনের সমস্যাও। সেই সঙ্গে সুগার, প্রেশার, কোলেস্টেরলের মত সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে শরীরে। আর তাই আগে থেকেই সাবধান হতে হবে। ফ্যাট ছড়াতে রোজ শরীরচর্চা ছাড়া কোনও গতি নেই। আর রোজ ব্যায়াম করতে পারলে মনও ভাল থাকে। অনেকেই ভাবেন নিয়ম করে রোজ মধু, ল্বুর জল খেতে পারলেই শরীরের যাবতীয় ফ্যাট গলে যাবে ঝটপট। তবে সবসময় কিন্তু এই টোটকা কাজে আসে না। বরং রান্নাঘরে রাখা এই সব মশলা রাতে জলে ভিজিয়ে পরদিন সকালে ছেঁকে নিয়ে খান। এতে কাজ হবে অনেকটাই। দেখে নিন সকালের শুরুটা কোন পানীয়তে করবেন-
জিরের জল- রান্নাঘরে মশলার তাকে সবচেয়ে বেশি কদর জিরের। যে কোনও রান্নাতেই জিরে ব্যবহার করা হয়। নিরামিষ, আমিষ সব রান্নাতেই জিরে গুঁড়ো লাগে। এছাড়াও জিরের মধ্যে ক্যালোরি একেবারেইন নেই, সেই সঙ্গে খিদেও কমিয়ে দেয়। আর পেটের চর্বি গলাতেও কিন্তু সাহায্য করে। খিদে কমে গেলে বাড়তি ওজন ঝরতে বেশি সময় লাগে না।
গ্রিন টি- গ্রিন টি- এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই রোজ নিয়ম করে অন্তত ১ কাপ গ্রিন টি খেতেই পারেন। এছাড়াও গ্রিন টি- এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা আমাদের বিপাক ক্রিয়া বাড়াতে সাহায্য করে। তবে গ্রিন টি-এর মধ্যে একেবারেই চিনি দেবেন না।
জওয়ান- রোজ রাতে ২ চামচ জওয়ান একগ্লাস গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে তা ছেঁকে খেয়ে নিন। এছাড়াও একগ্লাস জলে জওয়ান ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে খেয়ে নিন খালিপেটে।
মৌরি- দীর্ঘদিন ধরে বদহজম, অ্যাসিড, অম্বলের সমস্যায় ভুগলে ভাল কাজ করে মৌরি। সেই সঙ্গে পেট ফেঁপে যাওয়ার সমস্যাতেও ভীষণ রকম কার্যকরী। এছাড়াও মৌরি মূত্রবর্ধক। যা শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। এছাড়াও যাঁরা বার বার ইউরিন ইফেকশনের সমস্যায় ভুগছেন, প্রস্রাব পরিষ্কার হয় না তাঁরাও নিয়ম করে খেলে উপকার পাবেন। সারারাত মৌরি ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে তা ছেঁকে নিয়ে খেয়ে ফেলুন।
জল খান- রোজ সকালে উঠে দিন শুরু করুন ইষদুষ্ণ জলে। এরপর সারাদিনে মেপে মেপে প্রচুর পরিমাণে জল খান। জল খেলে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন ভাল হয়। সেই সঙ্গে একাধিক সমস্যাও দূর হয়ে যায়। তাই নিয়ম করে রোজ জল খেতে ভুলবেন না।