নতুন বছর মানেই পকেট বন্দি ১০১ খানা রেজোলিউশন। কিন্তু এক সপ্তাহ যেতে না যেতেই সেখান থেকে কোনওক্রমে টিকে থাকে ১ খানি। যত দিন গড়ায় সেই একও কিন্তু মুছে যেতে থাকে। নতুন বছর মানেই সকলে ভাবেন এবার থেকে জিম, ডায়েটের কড়া শাসনে নিজেকে বেঁধে ফেলবেন। আর নিয়মমাফিক জিম করতে পারলেই কিন্তু কমবে ওজন। সেই সঙ্গে এই এক সপ্তাহ সব খাওয়া বন্ধ করে ডাল-স্যুপ-ফলের ভরসায় বেঁচে থাকা। কিন্তু এরপর সেই আবার একই রুটিনে ফিরে আসা। তবে এই দশ দিনের ওয়েট লস ভাবনা কিন্তু শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। পুষ্টিবিদরা বার বার পরামর্শ দিচ্ছেন বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার জন্য। ঘরোয়া খাবার, যে খাবার খেয়ে আপনার মা-দিদিমারা সুস্থ আছেন, যে খাবারে আমরা ছোট থেকে অভ্যস্ত সেই খাবারই কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য উপযুক্ত। আর এই সব খাবারে যেমন শরীর সুস্থ থাকে তেমনই শরীরে রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতাও গড়ে ওঠে।
সকাল থেকে যতই বাড়ির খাবার, স্বাস্থ্যকর কিছু খাওয়া হোক না কেন বিকেল হলেই কিন্তু মনটা নোনতা-খাস্তা- ভাজাভুজির দিকেই বেশি টানে। হাতের সামনে চপ, শিঙাড়া, কাটলেট, পকোড়া পেলে তো কথাই নেই। কিন্তু এই সব খাবারই আমাদের শরীরের জন্য এক প্রকার বিষ। বাইরের খাবার খেলে শুধুই যে হজমে সমস্যা দেখা দেয় তা নয়, একটানা খেলে সেখান থেকে আসতে পারে একাধিক সমস্যা। সেই সঙ্গে এই সব খাবারে নুনের পরিমাণ বেশি থাকে। যা আরও ক্ষতিকর। আর তাই নতুন বছরে যখন ওজন কমানো ( Weight loss) লক্ষ্য তখন কিন্তু পাতে অবশ্যই রাখুন এই কয়েকটি স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস (healthy options)।
কাবুলি চানা-রাজমার স্যালাড- কাবুলি চানা আর রাজমা এই দুই উপাদনই কিন্তু পুষ্টিতে ঠাসা। ফাইবার, ফোলেট,পটাশিয়াম, আয়রন রয়েছে এর মধ্যে। বিকেলের জল খাবারে খুবই ভাল এই স্যালাড। রাজমা আর চানা সিদ্ধ করে নিন। এবার শসা, পেঁয়াজ, টমেটো, লঙ্কা, ধনেপাতা কুচির সঙ্গে মিশিয়ে নিন এই চানা। লেবুর রস আর স্বাদমতো নুন ছড়িয়ে নিলেই তৈরি।
স্প্রাউটস চাট- অঙ্কুরিত মুগের সঙ্গে হালকা ভাবিয়ে নেওয়া কর্ন মিশিয়ে নিন। এবার সঙ্গে শসা, পেঁয়াজ কুচি, ভাজা মশলা কিংবা চাট মশলা, নুন আর লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারলেই হল। এই চাট কিন্তু অনেকক্ষণ পেট ভরতি রাখে।
ধোকলা- ধোকলা খেতে যেমন ভাল তেমনই কিন্তু তেল ছাড়াই বানিয়ে নেওয়া যায়। বেসন, সুজি আর আদাবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পদ্ধতি মেনেই বানিয়ে নিন ধোকলা।
ক্রিসপি স্পিনাচ- শীতে বাজারে প্রচুর পরিমাণ পালং শাক পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে পালং শাকের উপকারিতা অনেক। ৩০০ গ্রাম পালং শাক ভাল করে ধুয়ে শুকিয়ে কেটে রাখুন। কড়াইতে তেল দিন। এবার ওর মধ্যে পেঁয়াজ কুচি, রসুন কুচি, লঙ্কা কুচি আর স্বাগদমত নুন দিয়ে শাক মিশিয়ে দিন। এই রেসিপি কিন্তু খেতে খুবই ভাল লাগে।
আরও পড়ুন: Health care tips: এই ৩ ভুলই রোগের গোড়া, ২০২২-এ সুস্থ থাকতে মেনে চলুন সেলিব্রেটি পুষ্টিবিদের পরামর্শ