যে ভাবে বাড়ছে ওমিক্রন, সেই আবহে নিজেকে সুস্থ এবং সুরক্ষিত রাখাটাই কিন্তু এখন মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। নতুন বছর মানেই কিন্তু সকলে নানা রকম রেজোলিউশন নেন। গত দু বছর ধরে কোভিড আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে, স্বাস্থ্যই সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। নিজের শরীর মনের খেয়াল রাখা একান্ত জরুরি। নিজে সুস্থ থাকলে তবেই কিন্তু সব ঠিক থাকবে। আর সুস্থ শরীরের জন্য খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন কিন্তু হয় না।
জীবনযাত্রায় ছোট ছোট পরিবর্তন আনলেই ভাল থাকা যায়। সেই জন্য কিছু লক্ষ্য রাখুন সামনে। সারাদিন আপনি কী করবেন, কী খাবেন, কোন কোন কাজ সারবেন তা যদি আগে থেকে ঠিক করা থাকে তাহলে দেখবেন সমস্ত কিছু সময় মাফিকই হচ্ছে। আর তাই সকলের জন্য সেলিব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর দিলেন দারুণ কিছু টিপস। এতে যেমন শরীর ভাল থাকবে তেমনই কিন্তু শরীর ভিতর থেকে থাকবে ফিট। বরাবর রুজুতা জোর দেন ঘরোয়া খাবারের উপর।
ঘরের তৈরি খাবারের উপর। ভাত, রুটি, শাক, তরকারি খেয়েই ওজন কমানোর পরামর্শ দেন তিনি। সেই সঙ্গে রুজুতা বলেন আঞ্চলিক খাবার খেতে। অঞ্চলভেদে খাবারের নানা বৈচিত্র্য থাকে। আর তাই সেই ভাবে যদি খাবার রাখা যায় তালিকায় তাহলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে অনেকটাই।
সম্প্রতি রুজুতা তাঁর ইন্সটাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানেই তিনি বলেছেন ফ্যাট বাদ দেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি করবেন না। ফ্যাট বাদ দিতে হবে বলে আমরা এমন ভাবে নিজেদের ডায়েট সেট করি যেখানে পুষ্টিকর সব উপাদানই রয়ে যায় বাদের তালিকায়। সব রকম ভাবে শরীর যাতে পুষ্টি পায়, আগে সেদিকেই খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়াও তিনি বলেন গ্লুটেন ফ্রি, ডেয়ারি ফ্রি ডায়েট এসব শরীরের জন্য অতিরিক্ত। ফ্যাট কমাতে এই সব ডায়েট মেনে চলার কিন্তু কোনও প্রয়োজনীয়তা নেই।
আগে অনেকেই ভয়ে ঘি খেতেন না। ঘি খেলেই ক্যালোরি বাড়ে, এমনই ছিল ধারণা। রুজুতা কিন্তু বলছেন ঘি খান। কিন্তু তা বুঝে খাও। ঘি-বোলানো রুটি শরীরে ইমিউনিটি বাড়ায়, ঠান্ডা লাগার সমস্যা থেকে দূরে রাখে।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে খাবার ডায়েটে পরিবর্তন এসেছে। ডায়েটের কথা বললেই অনেকেই বেশি ভরসা করতে শুরু করেন বিদেশী শাক-সবজি, ফলমূলের উপর। ওটস, ডালিয়া, কুইনোয়া এসবই বেশি পরিমাণে খান। রুজুতা বলছেন, বাজরার রুটি মাখন মাখিয়ে, আটার রুটি ঘি দিয়ে খান। ভাত-ডাল-ঘি খান। এসব খাবার যেমন খেতে ভাল তেমনই কিন্তু এর কোনও বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে অনেকটা পরিমাণে পুষ্টিও পাওয়া যায়। তবে ঘি-মাখনের পরিমাণ একদম সীমিত রাখুন।
এছাড়াও প্রতিদিন ওয়ার্ক-আউট করতেই হবে। ক্যালোরি মেপে যেমন খাবেন তেমনই কিন্তু ক্যালোরি খরচাও করতে হবে। তবে খুব বেশি ওয়ার্ক-আউট নয়। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। আর ওয়ার্ক-আউটকে শাস্তি হিসেবে নেবেন না। এতে সমস্যা বেশি হবে। মন খুলে শরীরচর্চা করুন। ৩০ মিনিট ফ্রি হ্যান্ড, ডান্স এক্সসারসাইজ করুন। এছাড়াও ব্যায়াম কিন্তু ডিপ্রেশন কমায়। সেই সঙ্গে খাবারের প্রতি লোভও কমায়।
আজকাল বেশিরভাগ মেয়েই পিসিওএস ( PCOD/ PCOS)-এর সমস্যায় ভুগছেন। সেখানে চুল পড়ে যাওয়া, ওজন বেড়ে যাওয়া, অনিদ্রা, অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যা এসব লেগেই থাকে। এসবের জন্য একমাত্র দাওয়াই কিন্তু শরীরচর্চা।
আরও পড়ুন: Women health: যে বিষয়গুলি স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে মোটেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়!