Women health: যে বিষয়গুলি স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে মোটেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়!

মেয়েদের শরারিক সমস্যা চেপে রাখলে কিন্তু সেখান থেকে হতে পারে বিপত্তি। আর তাই চিকিৎসকের সঙ্গে মন খুলে কথা বলুন। স্তনের যে কোনও অস্বাভাবিকতা নিয়েও কথা বলতে পারেন স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে

Women health: যে বিষয়গুলি স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে মোটেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়!
নিজের স্বাস্থ্যের যত্ন নিজেকেই নিতে হবে
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 3:03 PM

সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সব মেয়েরই কিন্তু নিয়মিত স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া উচিত। বিশেষত ১৮ পেরোলেই। কারণ তখন থেকেই শরীরে-মনে হরমোনের পরিবর্তন আসে। আর হরমোনের পরিবর্তন জনিত কারণে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। আর এই সব বিষয় নিয়ে প্রথম থেকেই খোলাখুলি কথা বলা উচিত। কারণ তা চেপে রাখলে সেখান থেকে আসতে পারে একাধিক সমস্যা। কোন সমস্যার জন্য কোন সমাধান প্রয়োজন তা কিন্তু আপনি নিজেও জানেন না। আর এ ব্যাপারে চিকিৎসক ব্যতীত অন্য কারোর পরামর্শ মেনে চলারও কোনও প্রয়োজন নেই। তাই চিকিৎসকের সুবিধার জন্য এবং নিজের শরীরের জন্য মন খুলে কথা বলুন চিকিৎসকের সঙ্গে। কোনও কিছুই লুকিয়ে রাখবেন না। প্রয়োজনে আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখুন। যে যে বিষয়গুলি সম্বন্ধে কথা বলবেন

যোনিতে দুর্গন্ধ- যোনিতে আঁশটে গন্ধ থাকা খুব স্বাভাবিক। অ্যাসিড ক্ষরণ থেকেই কিন্তু আসে এই গন্ধ। কিন্তু তা যদি মাত্রাতিরিক্ত হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। কথা বলুন সমস্যা নিয়ে। লজ্জা পাবেন না। হতে পারে তা কোনও সংক্রমণ জনিত সমস্যা। এছাড়াও যদি যোনিস্থান নোংরা থাকে, প্রতিদিন ঠিকমতো পরিষ্কার করা না হয় তাহলে কিন্তু সেখান থেকেও আসতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা। দিনের পর দিন এই সমস্যা ফেলে রাখলে কিন্তু জটিলতা বাড়ে।

যোনিস্থানে চুলকানি- অনেক সময় সঙ্গমের পর সেখান থেকে যোনিতে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। আর এই সংক্রমণের সমস্যা থেকেও হতে পারে চুলকানির মত সমস্যা। আবার এই চুলকানি যদি বাড়াবাড়ি পর্যায়ে পৌঁছয় তাহলে কিন্তু তা হতে পারে ক্যানসারের পূর্ব লক্ষণ।

যৌনমিলনের সময় ব্যথা- অনেকের কাছেই যৌন মিলন খুব কষ্টের। ব্যথা, অস্বস্তি কোনও ভাবেই দূর করা যায় না। সেক্ষেত্রে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। নিজে থেকে কোনও রকম টোটকার প্রয়োগ করবেন না। আর এই সমস্যাটি নিয়ে কথা বলতে দ্বিধাবোধও রাখবেন না।

পিরিয়ডকালীন সমস্যা- পিরিয়ডসের সময় অনেকেরই ব্যাথা, ক্র্যাম্প অতিরিক্ত রক্তপাত -সহ একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সেই ব্যথা যদি সহ্যসীমার বাইরে চলে যায় তাহলে একবার চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নিন। হতে পারে তা ফাইব্রয়েড, এন্ডোমেট্রিয়োসিস কিংবা অ্যাডেনোমায়োসিসের সমস্যা। আর এই সমস্যা কিন্তু একেবারেই ফেলে রাখা ঠিক নয়।

অনিয়মিত পিরিয়ডস- আজকাল অনেকেই এই অনিয়মিত পিরিয়ডসের সমস্যায় ভুগছেন। এর মূল কারণ কিন্তু হরমোনের ভারসাম্যহীনতা। হরমোনের মধ্যে ভারসাম্য না থাকলেই কিন্তু নানা সমস্যা হয়। অনিয়মিত পিরিয়ডস, ওজন বেড়ে যাওয়া, থাইরয়েডের সমস্যা এসবের জন্য কিন্তু চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেবেন। এবং সেইমত ওষুধও খাবেন।

মা হওয়ার আগে- ফ্যামিলি প্ল্যানিং করছেন কিংবা মা হওয়ার কথা ভাবছেন। এর আগেও কিন্তু স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। মানসিক এবং শারীরিক দিক থেকে আপনারা প্রস্তুত কিনা তা যেমন খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন তেমনই সন্তানধারণের পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী সমস্যা সম্পর্কেও বিশদে জেনে রাখা প্রয়োজন। এতে নিজেরই লাভ।

আরও পড়ুন: Omicron In India: এক লাফে ৬০ হাজার! দৈনিক করোনা সংক্রমণ এভাবে চললে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে…