Omicron In India: এক লাফে ৬০ হাজার! দৈনিক করোনা সংক্রমণ এভাবে চললে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে…

ওমিক্রনের আক্রান্তের সংখ্যা এই ভাবে বাড়তে থাকলে দৈনিক ৬০ হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়তে পারে। হুঁশিয়ারি চিকিৎসকদের

Omicron In India: এক লাফে ৬০ হাজার! দৈনিক করোনা সংক্রমণ এভাবে চললে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে...
ভোটের আগে কোভিড কাঁটা! প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 03, 2022 | 1:43 PM

প্রকট হচ্ছে ওমিক্রনের চোখরাঙানি। দেশ জুড়েই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। মহারাষ্ট্র, কেরালায় ওমিক্রন আক্রান্তের হদিশ মিলছে রোজ। এখনও পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়ে গিয়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যাও। আ্রান্ত হয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও। হাসপাতালগুলিতে ফের চালু হয়েছে আইসোলেশন ওয়ার্ড। ইতিমধ্যে প্রচুর মানুষ আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন।

৩ জানুয়ারি পরিস্থিতি বিচার করে আংশিক লকডাউনের পথে হেঁটেছে রাজ্য। নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে একাধিক ক্ষেত্রে। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু শুধুই কি ওমিক্রন? নাকি ডেল্টা আর ওমিক্রনের জোড়া ধাক্কাতেই এমন কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন গবেষকরা। ২৭ ডিসেম্বর কলকাতায় কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৭৮ জন। কিন্তু ২ জানুয়ারি তা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৫২৫ জনে। কলকাতার অবস্থা দেখে কার্যত আঁতকে উঠছেন চিকিৎসকরাই। রবিবার একদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হলেন ৬ হাজার ১৫৩ জন। এর মধ্যে ৩ হাজার ১৯৪ জনই কলকাতার। রবিবার স্বাস্থ্য দফতর প্রকাশিত বুলেটিনে তুলে ধরা হয়েছে এ তথ্যই।

এভাবে চলতে থাকলে ভেঙে পড়তে পারে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা। ওমিক্রনে আক্রান্ত কিনা সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে জিনোম সিকোয়েন্সিং পরীক্ষা করতে হয়। কিন্তু সেই পরীক্ষা আপাতত দিল্লি আর মুম্বইয়ের দুটি বড় ল্যাবে হয়। সেই ল্যাব সূত্রে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী আগে যত সংখ্যাক পরীক্ষা করানো হত গত এক সপ্তাহে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ শতাংশে। গত সপ্তাহের তুলনায় ওমিক্রন টেস্ট করানোর জন্য স্যাম্পেল আসছে ৩৭ শতাংশের থেকেও বেশি। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে প্রবল স্বাস্থ্য সংকটের মুখে পড়বে ভারত। আক্রান্তের সংখ্যা এখন প্রায় ১,৫০০। কিন্তু তা ১৮ হাজার হতে বেশি সময় লাগবে না।

ডেল্টার থেকেও অনেকগুণ বেশি দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। ওমিক্রনের প্রভাব এখনও তেমন গুরুতর নয়। কিন্তু ডেল্টাতেও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। আর তাই হাসপাতালে ভর্তির ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে ভারতে দিনে ৬০ হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন পড়তে পারে। সেই সঙ্গে প্রতিদিন আক্রান্তের সংখ্যাও ১৬ থেকে ২০ লক্ষে পৌঁছতে পারে।

এছাড়াও হাসপাতাল, ডাক্তার, অক্সিজেনের সুব্যবস্থা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ডেল্টায় ১০০ জন আক্রান্ত হলে তার মধ্যে ৬ জনকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন ছিল, ওমিক্রনের ক্ষেত্রে তা ৩। ডেল্টা যে ভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছিল তাতে ২৪ হাজার জনকে দৈনিক হাসপাতালে ভরতির প্রয়োজন পড়েছিল। কিন্তু ওমিক্রনের যা পরিস্থিতি তাতে সেই সংখ্যাটা গিয়ে দাঁড়াবে ৬০ হাজারে।

আরও পড়ুন: Coronavirus: করোনার নয়া সংক্রমণ কি চোখের থেকেও ছড়াতে পারে? জানুন…