শরীর ঠিক রাখতে খাবার খেতে হবে। সেই সঙ্গে খাবারের গুণগত মান এবং পুষ্টির দিকে খেয়াল রাখাও খুব জরুরি। খাবার শুধু খেলেই হল না, তা যেন ঠিকমতো রান্না হয় সেদিকেও নজর দিতে হবে। অতিরিক্ত তেল-মশলা দিয়ে রান্না করলেই খাবার মোটে ভালো খেতে হয় না। আবার অনেকদিনের ফ্রিজে রাখা বাসি রান্নাও খাওয়া ঠিক নয়।
রান্নার পদ্ধতিগত কিছু ভুলের (Cooking Tips) জন্যই অনেক অসুখই ডেকে আনি নিজেরা। বিশেষজ্ঞদের মতে, শুধু ডায়েট মেনে চললেই হবে না, অসুখ এড়াতে বাদ দিতে হবে সেই সব ভুলও। বিশেষ করে মাংস (Common Cooking Mistakes) রান্নার ব্যাপারে। মাংস প্রোটিনদ্ধ খাদ্য। একে কাঁচা অবস্থায় একেবারেই খাওয়া যায় না। তেলমশলা সহযোগে উত্তমরূপে রান্নার পরই খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা যায়।
মাংস রান্নার অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্দেশ্য হল সহজপাচ্য এবং সুস্বাদু করে তোলা। রেড মিট এখন অনেকেই খান না, হৃদরোগ, হাই প্রেশার, কোলেস্টেরল ইত্যাদির প্রকোপ বাড়তে পারে এই রেড মিট থেকে। রোগের বাড়াবাড়ি জেরে আস্থা রাখছেন চিকেনের উপর।
চিকেন এমন একটা খাবার যা সহজে হজম হয় এবং যেমন খুশি রাঁধা যায়। ছোট থেকে বয়স্ক সকলেরই হজমের উপযোগী। চিকেন স্যুপ হোক, ঝোল কিংবা কষা কিংবা চিলি চিকেন যে কোনও কিছুই খেতে কিন্তু বেশ লাগে। অগ্নিমূল্যের বাজারে তুলনায় সস্তা হল চিকেন। তবে চিকেন রান্না করার সময় যে বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখবেন-
ম্যারিনেট করুন
মাংসের আঁশ কোমল করতে ম্যারিনেটের বিকল্প নেই। ম্যারিনেট না করলে মাংস সিদ্ধ হতে বেশি সময় নেয়। আবার ঠিকমতো সিদ্ধও হয় না। মাংস ম্যারিনেট করতে অ্যাসিডিক উপাদান যেমন– লেবু, ভিনেগার, দই ইত্যাদি ব্যবহার করুন। ম্যারিনেট করার ফলে মাংস কিন্তু সিদ্ধ হতেও কম সময় লাগবে।
নুন দিন
রান্নার আগে যদি মাংস ম্যারিনেট না করে থাকেন, তাহলে নুনের ব্যবহার করুন। যদি ম্যারিনেট করতে পছন্দ না করেন বা এর ফ্লেভার ভালো না লাগে, তাহলে রান্নার ২ ঘণ্টা আগে নুন দিয়ে মাখিয়ে ফ্রিজে রেখে দিন। এভাবে নুন ব্যবহার করার ফলে মাংসের আঁশের ভিতর থেকে নরম হবে।
ফ্রোজেন চিকেন রান্না নয়
ডিপ ফ্রিজে রাখা মাংস রান্না করার অন্তত তিন ঘন্টা আগে বাইরে এনে সাধারণ তাপমাত্রায় আনুন। এরপর তা ম্যারিনেট করে রান্না করুন। ঠান্ডা মাংস কখনই রান্না করবেন না। এতে শরীরের ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: Cake recipe: শীত মানেই কেকের মরশুম, রেসিপি দেখে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন এই ৩ সুস্বাদু কেক