এবছর বড়দিনের আগেই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। আর ক্রিসমাস একেবারে দোড়গোড়ায়। আর এই সময়ে কেক না খেলে ক্রিসমাস কাটানোই সম্ভব নয়। বাড়িতে খুদে থাকলে তো কথাই নেই। কেক পেস্ট্রি তো বছরের সবসময়ই পাওয়া যায়। কিন্তু বড়দিনের স্পেশাল ও ঐতিহ্যবাহী রেসিপি হিসেবে সবার আগে মনে পড়ে ফ্রুটস কেক। ভাবছেন, চকোলেট ছাড়াই কীভাবে কেক খাওয়া সম্ভব! ক্রিসমাসের ঐতিহ্য ও রীতি মেনে ঘরে ঘরে বাজার থেকে ফ্রুটস কেক আনা হয়। কিন্তু এবার যদি নিজেই বানাতে চান, তাহলে খুব সহজেই বানিয়ে নিন অথেনটিক ক্রিসমাস কেক। কীভাব, কী কী উপাদান দিয়ে এই ঐতিহ্যবাহী কেকটি তৈরি করবেন, তা জেনে নিন একনজরে….
কী কী লাগবে
চিনি-১০০ গ্রাম, মাখন-১০০ গ্রাম,ডিম- ১টি, ময়দা-১০০ গ্রাম, বেকিং পাউডার- ১/২ চামচ, ভ্যানিলা এসেন্স- ১/২ চামচ,
কাজুবাদাম, কিশমিশ, শুকনো ফল, খেজুর কুঁচি, কমলালেবুর খোসা কোরানো, শুকনো চেরি, পেঠা পরিমাণমতো,দুধ- ১/২ কাপ,খাবার সোডা- ১/২ চামচ।
পদ্ধতি
প্রথমে একটি পাত্রে মাখন আর চিনি ভালো করে মেশান। যতক্ষণ না ফুলে উঠছে ততক্ষণ মিশিয়ে নিন। ডিম ফেটিয়ে নিন ভালো করে। ফোঁটা ফোঁটা করে ডিমের গোলা ওই মাখনের মিশ্রণে মেশান। যতক্ষণ না মিশ্রনটা ফুলে ওঠে ফেটাতে থাকুন। ময়দার সঙ্গে খাবার সোডা ও বেকিং পাউডার মেশান। ময়দাটা ওই মিশ্রণে দিয়ে আবার ফেটাতে থাকুন। মিশ্রণটা ভাঁজ ভাঁজ হয়ে উঠবে। ওই মিশ্রণে এবার কিশমিশ, চেরি-সহ শুকনো ফল আর পেঠার কুঁচি মিশিয়ে দিন।
আবার ভালো করে ফেটিয়ে নিন। কেকের পাত্রে মাখন লাগিয়ে রাখুন। ওতে মিশ্রণটা সমানভাবে উঁচু করে কেকের শেপে ছড়িয়ে দিন। আভেন ১৮০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় প্রি-হিট করে রাখুন। ১০ মিনিট বেক করুন। অথবা কুকারের মধ্যে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। ৩০ থেকে ৪০ মিনিট পর গ্যাস বন্ধ করে দেবেন। নিজে থেকে ঠান্ডা হলে তারপর কেটে পরিবেশন করুন।