শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সুষম আহার ভীষণ জরুরি। শাক-সবজি, ফলমূল খেয়েই যে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করা সম্ভব, তাও নয়। আমাদের রান্নাঘরে এমন বেশ কিছু মশলা থাকে যা রোগ প্রতিরোগ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কিন্তু জানেন কি বেশ কিছু মশলা রয়েছে ইমিউনিটি বৃদ্ধির পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এই তালিকায় রয়েছে আদা ও হলুদ। আদা ও হলুদ দুটোই ভেষজ উপাদান যার মধ্যে বেশ কিছু ওষুধি গুণ রয়েছে। আয়ুর্বেদের মতে, এই দুটো উপাদান ওজন কমাতেও একইভাবে সহায়ক।
আদার মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। পাশাপাশি আদা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার সঙ্গে লড়াই করতে ভীষণ সহায়ক। আদা শরীরে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। সর্দি-কাশি, মাথার যন্ত্রণা, ঋতুস্রাবের সময় তলপেটে ব্যথার মতো সমস্যাগুলো থেকে রেহাই দিতে আদা কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
অন্যদিকে, হলুদের মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান রয়েছে। হলুদ যে কোনও ধরনের সংক্রমণের হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। সর্দি, কাশির সমস্যায় বিশেষভাবে উপযোগী হলুদ। আর যখন আপনি আদা ও হলুদ একসঙ্গে খাচ্ছেন তখন এর কার্যকারিতা আরও বেড়ে যায়।
কিন্তু যখন এই ধরনের ভেষজ উপাদান খাওয়া প্রসঙ্গ আসে, বেছে নেওয়া হয় কোনও চিরাচরিত উপায়। কেউ কেউ নিয়মিত করে সকালবেলা কাঁচা হলুদ ও আদা খান। আর যদি জ্বর, সর্দির সমস্যা থাকে তাহলে আদার চা কিংবা হলুদ মেশানো দুধ পান করেন। এই উপায় এই ভেষজগুলো গ্রহণ করা অবশ্যই স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। কিন্তু আরেকটি উপায়েও আপনি আদা ও হলুদ খেতে পারেন। সেটা হল স্মুদি।
আদা ও হলুদের স্মুদি পান করলে শুধু যে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে তা নয়। ওজন কমে যাবে দ্রুত। বাড়ির খুদেরাও ভালবাসবে এই আদা ও হলুদের স্মুদি। প্রতিদিন সকালে ব্রেকফাস্টে এই স্মুদি পান করলে আপনি উপকার পাবেন। এতে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়ে যাবে এবং মেটাবলিজম বাড়বে। তাহলে চলুন দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক কীভাবে তৈরি করবেন আদা ও হলুদের স্মুদি…
আদা ও হলুদের স্মুদির রেসিপি-
উপকরণ: এক চিমটে হলুদ, ১ ইঞ্চি আদার টুকরো, ১ গ্লাস দুধ, একটা পাকা কলা আর এক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো।
পদ্ধতি: ব্লেন্ডারে দুধের সঙ্গে কলা, আদার টুকরো, হলুদ গুঁড়ো ও দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এতে কয়েকটা বরফের টুকরো দিয়ে পরিবেশন করুন আদা ও হলুদের স্মুদির। যদি আদার গন্ধ এড়াতে চান তাহলে কয়েকটা পুদিনা ছড়িয়ে দিন উপর দিয়ে।