TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
Jul 17, 2022 | 3:49 PM
শ্রাবণের প্রথম দিন থেকেই শুরু হয়েছে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। যদিও বজায় রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। কখনও মেঘ, ককনও রোদ-বৃষ্টিতে নাজেহাল মানুষজন। এমন আবহাওয়াতেই সবচেয়ে বেশি শরীর খারাপ হচ্ছে। ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি-কাশি। সঙ্গে লেগেই রয়েছে পেটের নানা সমস্যাও। এরকম আর্দ্র পরিবেশেই ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সবচাইতে বেশি বংশ বিস্তার করে। যে কারণেই বাড়ে গ্যাস-অম্বল, হজমের সমস্যা।
শরীর সুস্থ রাখতে রোজ শাক-সবজি খাওয়ার কথা বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে পুষ্টিবিদ সৌম্য ভরানির মতে এই বর্ষায় লাউ, মুলো, শসা, রসুন, টমেটো, ঢ্যাঁড়শ এসব এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।
বর্ষাকালে কীট-পতঙ্গের প্রাদুর্ভাব বাড়ে। বেশিরভাগ জায়গাতেই তৈরি হয় বন্যা পরিস্থিতি। নোংরা, জমা জলে সমস্যা আরও বাড়ে। তাই শাক এড়িয়ে যেতে বলা হয় বর্ষাকালে। বেশির ভাগ শাকই জলা জায়গায় হয়। তাই সবথেকে নোংরা থাকে শাক। যে কারণে শাক খেতে মানা করা হয়। খাবেন না বাঁধাকপিও। চলতে পারে কাঁকরোল, করলা।
বেগুন- বেগুনের বীজে থাকে অ্যালকালয়েড। যা একরকম রাসায়নিক যৌগ। যা পোকামাকড় থেকে বেগুনকে রক্ষা করে। তবে বর্ষার বেগুনে সবচাইতে বেশি পোকা থাকে। আর এই সময় ক্ষেতে রায়াসনিকও বেশি স্প্রে করা হয়। ফলে তা বেগুনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্ষতিকর রাসায়নিক যৌগ তৈরি করে। বাড়ে অ্যালার্জির সমস্যা।
ফুচকা, শিঙাড়া- বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে ফুচকা, শিঙাড়া, চপ, জিলিপির দিকে এমনিই মন টানে। তবে তা খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। বিশেষত বর্ষায়। বর্ষায় ভাজা খাবার খেলেই পেট ফেঁপে যাওয়ার মত সমস্যা দেখা দেয়। বর্ষাকালে এই সব খাবারের মাধ্যমেই নানা ব্যাকটেরিয়া আমাদের শরীরে প্রবেশ করে।
যে কোনও রকম ঠান্ডা পানীয়, কার্বোনেটেড ড্রিংক এই সময় এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। এতে এনজাইমের কার্যকারিতা কমে যায়। সেই সঙ্গে প্রভাব পড়ে পাচনতন্ত্রে। এছাড়াও সামুদ্রিক মাছ এই সময় এড়িয়েই চলবেন।