গরম পড়তেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে তরমুজে। আমাদের রাজ্যে প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন তো হয়েইছে সেই সঙ্গে আমদানি হচ্ছে বাইরের রাজ্য থেকেও। তরমুজের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে জল, প্রায় ৯৭ শতাংশ। এছাড়াও ক্যালোরি একেবারেই নেই। যে কারণে যাঁরা ওজন কমাতে চাইছেন তাঁদের তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও এই গরমে তরমুজ আমাদের শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখে। তরমুজে রয়েছে পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি ও বি। এ ছাড়া এই ফলে রয়েছে লাইকোপেন ও প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। লাইকোপোপেনের জন্যই কিন্তু তরমুজের রং লাল হয়। আর এই লইকোপোপেন কিন্তু আমাদের শরীরে ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এছাড়াও হৃদরোগ ঠেকাতেও কিন্তু জুড়ি মেলা ভার তরমুজের। গরমকালে ওজন কমানো তুলনায় সহজ। যে কারণে গরমকালে তরমুজ, লাউ এসব বেশি খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
তবে তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কিন্তু হাই। যে কারণে তা প্রাকৃতিক ভাবেই এতটা মিষ্টি হয়। তাহলে কি যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁদের তরমুজ এড়িয়ে চলা উচিত?
তরমুজের মধ্যে ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে। সেই সঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জলও। যা কিন্তু ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য খুব ভাল। যেহেতু তরমুজের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার তাই ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য তা কিন্তু ভাল। এছাড়াও তরমুজের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স প্রতি ১০০ গ্রামে ৭২। তবে যে ফলের GI ৭০ এর বেশি সেই সব ফল ডায়াবিটিসের রোগীদের এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়। কারণ এর বেশি হলে রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে। কারণ এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে- জানাচ্ছেন দিল্লির পুষ্টিবিদ আংশিকা গুপ্তা।
ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য কতটা ভাল তরমুজ?
তরমুজের মধ্যে জল আছে ৭০-৮০ শতাংশ। গ্লাইসেমিক লোড কম। ফলে ডায়াবিটিসের রোগীরা ১৫০-২০০ গ্রাম পর্যন্ত তরমুজ খেতে পারেন। এতে শরীরে ১৫ গ্রাম পর্যন্ত কার্বোহাইড্রেট যায়। এছাড়াও তরমুজের মধ্যে থাকা ভিটামিন সি , লাইকোপোপেন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরের অনেক রকম কাজে লাগে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের নানা ক্ষত প্রতিরোধে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে লাইকোপিন হার্ট ও হাড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। সেই সঙ্গে প্রোস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
তবে তরমুজ স্যালাড হিসেবে খেতে পারলে কিন্তু সবচেয়ে ভাল। ডায়াবিটিস রোগীরা ব্রেকফাস্টের পর একবাটি তরমুজ খেলে ভাল উপকার পাবেন। তবে তরমুজের জুস কিন্তু চলবে না।