Processed Food And Environment: আলট্রা প্রসেসিং ফুড শুধুই যে শরীরের জন্য বিষ তা নয়, একই ভাবে প্রভাব ফেলছে জীববৈচিত্র্যে
Processed Food: প্রসেসড ফুডের চল আজকাল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু তা আমাদের শরীরের জন্যেও সমান ভাবে ক্ষতিকর। এছাড়াও কোক, মিষ্টি পানীয়, চিপস তৈরির পর যে উদ্বৃত্ত থাকে তা কিন্তু পরিবেশের জন্য খুবই ক্ষতিকার
যে ভাবে দূষণ বাড়ছে তাতে নষ্ট হচ্ছে পৃথিবীর জীববৈচিত্র্য একথা এর আগে একাধিকবার তুলে ধরেছেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর জনসংখ্যা যে হারে বেড়ে চলেছে সেই হারে খাবারের যোগান নেই আমাদের দেশে। পুষ্টিকর খাবারের যোগান আসে আমাদের পরিবেশ থেকেই। তাই সেই পরিবেশের উপর যদি সংকট নেমে আসে তাহলে টান পড়বে খাদ্য ভান্ডারেও। উৎস না থাকলে যে কোনও কিছুই যে কোনও একদিন ফিরিয়ে আসে। বিশ্বব্যাপী মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯০ শতাংশই বিভিন্ন শস্যদানার উর নির্ভরশীল। যার মধ্যে প্রধান হল চাল, গম, ভুট্টা। এছাড়াও প্রায় ৭০০০ এর বেশি ভোজ্য উদ্ভিদ প্রজাতিও রয়েছে। এছাড়াও বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫ রকম শস্যের প্রজাতি রয়েছে। জীবনের চালিকাশক্তি হল খাদ্য। শরীরের প্রয়োজনীয় এনার্জি আসে এই খাবার থেকেই।
বর্তমানে প্রক্রিয়াজাত খাবারের চল সবচেয়ে বেশি। যে কারণে টান পড়েছে যোগানে। এই প্রক্রিয়াজাত খাবার পুরোটাই তৈরি হচ্ছে কারখানাতে। যে কারণে জমি, বনাঞ্চল ধ্বংস করে সেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে কারখানা। আর কারখানা চালাতে জলেরও প্রয়োজন। মাটি খুঁড়ে তুলে আনা হচ্ছে সেই জল। যার ফলে কমছে জলস্তরও। এছাড়াও দূষণ এবং ক্ষতিকর গ্রিন হাউস গ্যাসের ফলে গলছে হিমবাহ। যে কারণে সংকটে জলজ প্রাণীরা।
বেশকিছু প্রক্রিয়াজাত খাবার তৈরি হয় দুধ থেকে। পশ্চিমের দেশগুলোতেই এর প্রচলন বেশি। যে কারণে কিন্তু চাপ পড়ছে গবাদি পশুর উপরেও। যে কারণে ক্ষতির মুখে সে দেশের ডেয়ারি শিল্প। এছাড়াও কিন্তু এর প্রভাব রয়েছে জৈববৈচিত্র্যেও। এর পাশাপাশি বাড়ছে পরিবেশের জন্য উদ্বেগও। বেশ কিছু গবেষণাতেও কিন্তু তা প্রকাশিত। প্রক্রিয়াজাত খাবার যে মানুষের শরীরে প্রভাব ফেলার পাশাপাশি পরিবেশে প্রভাব ফেলছে এ নিয়ে কিন্তু এখনও তেমন আলোচনা হয় না। সেই সঙ্গে মানুষও তেমন সচেতন নয়। এর আগে বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলিতে এই প্রক্রিয়াজাত খাবারের চল ছিল সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বর্তমানে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতেও সেই খাবারের চল বাড়ছে। এমনকী বেড়েছে রপ্তানিও। কয়েক বছর আগেও ব্রাজিলে প্রক্রিয়াজাত খাবারের এতটা চল ছিল না। কিন্তু সেখানেও প্রচুর পরিমাণে বিক্রি বেড়েছে এই সব খাবারের। এমনকী এই আলট্রা প্রসেসিং ফুড, প্রসেসড ফুডের চাহিদাই সবচেয়ে বেশি। চিপস, মিষ্টি, বিভিন্ন সফট ড্রিংকস তো আছেই এই তালিকায়। সেই সঙ্গে মাছ, মাংস সবই এখন প্রসেসড ফুড হিসেবে পরিচিত।
তবে এই প্রসেসড ফুডের ব্যবহার সবচাইতে বেশি অস্ট্রেলিয়াতে। সেখানকার প্রায় ৩৯ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কই কিন্তু এই ফাস্ট ফুডের উপর নির্ভরশীল। যে কারণে বিভিন্ন লাইফস্টাইল ডিজিজ এখানে সবচাইতে বেশি। এরপরই তালিকায় রয়েছে মেক্সিকো, বেলজিয়াম, কলম্বিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, স্পেন। অস্ট্রেলিয়াযতে ২০১৯ সালে প্যাকেজ করা খাবার এবং পানীয় সরবরাহে সর্বাধিক ব্যবহৃত উপাদানগুলি ছিল চিনি (40.7%), গমের আটা (15.6%), উদ্ভিজ্জ তেল (12.8%) এবং দুধ (11.0%)। অতি-প্রক্রিয়াজাত খাবারে ব্যবহৃত উদ্বৃত্ত যেমন কোকো, চিনি এবং কিছু উদ্ভিজ্জ তেল জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য রক্ষায় প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত।