Keto Diet: কিটো ডায়েট করলে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই সাধারণ, যে ভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Apr 03, 2022 | 3:02 PM

Keto headaches: কিটো ডায়েট যেমন দ্রুত ওজন কমায় তেমনই কিন্তু একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যাও ডেকে আনে। যে কারণে কিন্তু বিশেষজ্ঞরা এই ডায়েট না মেনে চলার পরামর্শ দেন...

Keto Diet: কিটো ডায়েট করলে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া খুবই সাধারণ, যে ভাবে নিজেকে রক্ষা করবেন
কিটো ডায়েটের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

Follow Us

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে অনেকেই ভরসা রাখেন কিটো ডায়েটে। আর এই ডায়েট ঠিক করে মেনে চলতে পারলে কিন্তু ওজন কমবেই। এই ডায়েটে লো-কার্ব আর হাই প্রোটিন খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু দিনের পর দিন প্রোটিন খেলে কিন্তু শরীরে একাধিক সমস্যা আসে। এবং এই সব প্রভাব দিনের পর দিন পড়লে কিন্তু শরীরের অনেক সমস্যা জটিল হয়। চুল পড়া, অনিদ্রা, কিডনির সমস্যা এসব কিন্তু চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। কিটো ডায়েট হল একটি কম কার্বস, হাই ফ্যাট এবং প্রোটিন খাবার খাওয়া। এই ডায়েটের মূল ফোকাস হ’ল কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমানো এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য শরীরের অতিরিক্ত চর্বির ব্যবহার। রোজ কার্বোহাইড্র্ট কম খেলেই শরীর তখন জমা চর্বি থেকেই শক্তি সঞ্চয় করে। আর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কিন্তু ওজন কমে। আর এই সঞ্চিত চর্বির ব্যবহারের ফলেই কিন্তু একাধিক শ্বাস্থ্য সমস্যা আসে। যার মধ্যে মাথা ব্যথা এবং ফ্লু এর লক্ষণ কিন্তু সাধারণ। প্রোটিন বেশি খাওয়ায় শরীর কিটোসিস প্রক্রিয়া শুরু করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। যেখান থেকেই কিন্তু আসে এই কিটো ফ্লু। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা এই ডায়েট মেনে চলার পরামর্শ কিন্তু মোটেই দেন না। দেখে নিন এই ডায়েট থেকে আর কী কী সমস্যা আসতে পারে।

মাথাব্যথা- মাথাব্যথা কেটো ফ্লু-এর অন্যতম একটি লক্ষণ। কেটো ডায়েট শুরু করার প্রথম দিন থেকেই মাথাব্যথা, মাথা ধরা এই সব সমস্যা লেগেই থাকে। আর যতদিন এই ডায়েট আপনি করবেন, এই মাথা ধরার মত সমস্যা কিন্তু লেগেই থাকে। ডায়েট আর শারীরিক সমস্যা একসঙ্গে হলে কিন্তু খুবই সমস্যা।

ব্লাড সুগারের পরিমাণ কমে যায়- কার্বোহাইড্রেট ভেঙে যে গ্লুকোজ তৈরি হয় তাই কিন্তু মস্তিষ্ককে চালিত করে। কিন্তু কিটো ডায়েটে ফ্যাট ভেঙে গ্লুকোজ তৈরি হয়। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যায়, যে কারণে রক্তশর্করা কমে যায় এবং মাথাব্যথা হয়।

ডিহাইড্রেশন- কিটোসিস প্রক্রিয়ায় আমাদের শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পোড়ানো হয়। ফলে তখন প্রস্রাবে যাওয়ার ফ্রিকোয়েন্সিও বেড়ে যায়। যেখান থেকে কিন্তু নারাত্মক ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয়। আর চাপ পড়ে কিডনির উপর।

পটাশিয়াম এবং ম্যাগেশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখুন- নিয়মিত ভাবে এই ডায়েট মেনে চললে শরীরে সোডিয়াম-পটাশিয়ামের ঘাটতি হয়। আর তাই খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খান। এছাড়াও এতে ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ওয়ার্কআউট এড়িয়ে চলুন- যদি নিয়মিত ভাবে কিটো ডায়েট মেনে চলেন তাহলে কিন্তু ওয়ার্কআউট না করাই ভাল। হাঁটা কিংবা খুব হালকা এক্সসারসাইজ চলতে পারে। তবে ভারী কোনও এক্সসারসাইজ একেবারেই নয়। কারণ এতে শরীরের উপর চাপ পড়ে। প্রক্রিয়াজাত খাবার কিন্তু একেবারেই নয়। এখান থেকেও আসে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। এছাড়াও কিটো ফ্লু এর সমস্যা থাকলে- পেটে ব্যথা, বমি ভাব, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, শরীরে ব্যথা, হার্টবিট বেড়ে যাওয়া নানা সমস্যা আসতে পারে।

Next Article