শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান মাস। আর বিশ্বজুড়েই মুসলমান ধর্মসম্প্রদায়ের মানুষরা এই পবিত্র মাসে রোজা রাখেন। সূর্যোদয়ের পর রোজা শুরু হয় আর সূর্যাস্তের পর রোজা ভাঙে। এই ভাবে একমাস চলার পর আসে ঈদ। এবছর রোজা শুরু হয়েছে ২ এপ্রিল থেকে এবং তা চটলবে ২মে পর্যন্ত। যাঁরা এই সনয় রোজা রাখেন তাঁদের বিভিন্ন নিয়ম পালনের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। এই সময় কোনও রকম মদ্যপান বা ধূমপানের কিন্তু অনুমতি থাকে না। সেই সঙ্গে এই উপবাসের সময়টাতে খালি পেটেই থাকার কথা বলা হয়। আর তাই বিশেষজ্ঞরা বলেন, সেহরিতে এফলে এমন কিছু খাবার রাখুন যা আপনার সরীরের জলের চাহিদা দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত পূরণ করবে। গরমকালে এমনিই বেশি জলের তেষ্টা পায়। ফলে এই সময় বেশি করে জল খেতেই হবে। আর দীর্ঘক্ষণ জল না খেয়ে থাকলে কিন্তু শরীরেও একাধিক সমস্যা দেখা যায়। তাই বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন বিশেষ কিছু টিপস,যা আপনাকে দীর্ঘক্ষণ হাইড্রেট থাকতে সাহায্য করবে।
*আর তাই প্রথমেই যে খাবারের উপর বেশি জোর দেবেন তা হল শসা। শসার মধ্যে থাকে ৯৫ শতাংশ জল। সেই সঙ্গে থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন। যা আমাদের উপবাসের সময় সরীরে শক্তি দেয়। সেই সঙ্গে অন্ত্রের স্বাস্থ্যও বজায় রাখে।
*তাপমাত্রার পারদ ক্রমশই চড়ছে। আর তাই হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে সব সময় বেশি করে জল, জলের পরিমাণ বেশি রয়েছে এমন ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই সময় বাজারে প্রচুর পরিমাণে তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে। আর তরমুজ কিন্তু আমাদের শরীরের জন্যেও ভীষণ রকম উপকারী। তরমুজের মধ্যে জল থাকে ৯৪ শতাংশ। সেই সঙ্গে থাকে খনিজ। যা আমাদের শরীরে জলের চাহিদা মেটায়। আর দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত শরীরকে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে।
*এছাড়াও দীর্ঘক্ষণ জল না খেয়ে থাকলে কিন্তু চাপ পড়তে পারে কিডনিতে। এমনকী কিডনিতে স্টোন হবারও সম্ভাবনা থেকে যায়। আর তাই তরমুজ বেশি করে খান। সেই সঙ্গে হার্ট ভাল রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে তরমুজের।
*এই সময় অতিরিক্ত নুন খেতে মানা করা হয়। কারণ নুনের মধ্যে থাকা সোডিয়াম আমাদের শরীরে তেষ্টা বাড়িয়ে দেয়। আর এই সময়ে শরীর বেশি পরিমাণে হাইড্রেট রাখা প্রয়োজন। তাই তেলেভাজা, নুনের খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজনে ফল খান, সবজি বেশি করে খান। সবজির মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ। তাই ফাস্ট ফুড, ভাজা নোনতা খাবার এড়িয়ে চলুন।
*তাজা ফলের জুস বানিয়ে খান বাড়িতেই। কমলা, আপেল, তরমুজ যে কোনও ফলের জুস বানিয়ে খান। মিক্সড ফুড জুসও কিন্তু বানিয়ে নিতে পারেন।
*যদি কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকে তাহলে কিন্তু দুধ খেতে পারেন। যে কোনও এক সময়ে একগ্লাস দুধ খান। দুধের মধ্যে থাকে ক্যালসিয়াম। যা শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে।
*এছাড়াও খেতে পারেন টকদই। টকদইয়ের মধ্যে রয়েছে ৪৪ শতাংশ জল। সেই সঙ্গে এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম। আঙুর বা বেদানা, শসা মিশিয়ে টকদই খান। এতে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ হয়।