কম পরিমাণ খাবার খেলে বা দীর্ঘসময় খালিপেটে থাকতে পারলেই ওজন কমে যায় বলে ধারণা অনেকরেই। আবার অনেকেই লোভে পড়ে বেশি খাবার খেয়ে নেন, তারপর জোর করে বমি করে তা উগরে দেন। এই দুই পদ্ধতিই শরীরের জন্য ভীষণ রকম ক্ষতিকারক। এতে ওজন তো কমেই না, সেই সঙ্গে একাধিক সমস্যা এসে জুড়ে বসে। ওজন কমাতে আর শরীরে পুষ্টির জোগান ঠিক রাখতে রোজ পুষ্টিকর খাবার খেতেই হবে। সেই তালিকায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সব সমপরিমাণে রাখতেই হবে। কোনও একটা সম্পূর্ণ বাদ দিলে মোটেই শরীর ঠিক থাকে না। ছোট থেকে যে খাবারে বড় হয়ে উঠেছেন রোজ নিয়ম করে তাই-ই খান। এতেই কমবে ওজন। সেই সঙ্গে শরীর, ত্বক দুই-ই ভাল থাকবে।
ডাল-ভাত
আমাদের প্রধান খাদ্য হল ডাল আর ভাত। যতই আমরা ওটস, রুটি এসব খাই না কেন গরম ভাতে মুসুর ডাল না খেলে ঠিক তৃপ্তি আসে না। সঙ্গে একবাটি তরকারি, দই, স্যালাড এসবও অবশ্যই রাখবেন। এছাড়াও এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, ভিটামিন, আয়রন, লক্যালশিয়াম, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট। অন্ত্রের জন্যেও ভাল ডাল-ভাত। সেই সঙ্গে ওজনও কমে।
রাজমা-ভাত
উত্তর ভাতরে খুব জনপ্রিয় খাবার হল এই রাজমা আর ভাত। সেই সঙ্গে এই খাবারের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। তবে এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স একেবারেই কম। রাজমা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। রাজমা- ভাতে ফ্যাট আর ক্যালোরির পরিমাণ একেবারেই কম।
ইডলি
ইডলি, সাম্বার দক্ষিণের প্রিয় খাবার। রোজ নিয়ম করে এই খাবার খেলে আপনারও ওজন কমবে। ইডলি আর সাম্বার বানাতে সময় কম লাগে, খরচাও কম। আর ইডলিতে তেলও থাকে না। ইডলিতে ক্যালোরির পরিমাণও অনেকটাই কম। খেতে পারেন ধোসা, উত্তাপম আর সাম্বারও। একবাটি ইডলিতে ক্যালোরির পরিমাণ ৪০-৬০ ক্যালোরি।
রুটি-সবজি
রুটির সঙ্গে তরকারি আর শসা খেলে পেটও তাড়াতাড়ি ভরে সেই সঙ্গে শরীরও থাকে সুস্থ। তরকারি হিসেবে শাক বা কুঁদরি সবচাইতে ভাল। খেতে পারেন দই ভিন্ডি, পনির ভুর্জি, সোয়াবিন যে কোনও কিছু খেতে পারেন।
খিচুড়ি
যে কোনও রকম ডাল মিশিয়ে খিচুড়ি বানাতে পারেন। মুগ ডাল, মুসুর ডাল, ছোলার ডাল কলাইয়ের ডাল, মুসুর ডাল মিশিয়ে বানিয়ে নিন খিচুড়ি। খিচুড়ির লমধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম। যা অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতেও সাহায্য করে। ডায়াবেটিস আর হৃদরোগীদের জন্যও খুব উপকারী খিচুড়ি।