সুইট কর্ণ থেকে শুরু করে রাস্তার ধারের ভুট্টা, দুইয়েরই নিজস্ব আকর্ষণ আছে। খেতে তো না হয় দুটোই ভালো, কিন্তু কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর? স্বাস্থ্যের প্রসঙ্গ এলেই একজন আরেকজনকে বেশ খানিকটা টপকে যায়। তাহলে, আপনার কী খাওয়া উচিত – সুইট কর্ণ না কি ভুট্টা?
সেলিব্রিটি নিউট্রেশনিস্ট মুনমুন গনেরিওয়াল (Munmun Ganeriwal) সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেখানে তিনি সুইট কর্ণ আর সাধারণ ভুট্টার মধ্যে তফাতগত কয়েকটা দিক তুলে ধরেছেন।
গনেরিওয়াল লিখেছেন, “সুইট কর্ণ হাইব্রিড বীজ থেকে তৈরি করা হয়, যার ফলে অনেক বেশি রিসোর্সের প্রয়োজন হয়।… সুইট কর্ণের উৎপাদনের জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণের কীটনাশকের ব্যবহার করা হয়। তাছাড়াও, এর মধ্যে যে চিনির পরিমাণ থাকে সেটাই যথেষ্ট এর পুষ্টিগুণ কমিয়ে দেওয়ার জন্য।”
অন্যদিকে, আদিবাসী (Indigenous) ভুট্টা ৩,০০০ এরও বেশি প্রজাতির হয়। মুনমুন বলেন,” এই ভুট্টাগুলো চাষ করতে একদম সামান্য জল আর সার লাগে। অন্যান্য ফসলের সাথে যখন এই ভুট্টা চাষ করা হয়, তখন এ নিজেই কীটনাশক হিসেবে কাজ করে। এগুলোর পরিপূর্ণ ফলন হলেই কাটা হয়। এতে যে সুবিধাটি হয়, তা হল, ফলন সম্পূর্ণ হওয়ায় ভুট্টার মধ্যেকার শর্করা স্বাভাবিক ভাবেই জটিল স্টার্চে পরিণত হয়ে যায়। এর ফলে, সুইট কর্ণের মতো, চিনির কারণে পুষ্টি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে না।”
তিনি আরও বলেন, “সাধারণ ভুট্টায় ফাইবারের যে বিশিষ্ট উপাদান থাকে তা রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতাকে বাড়ায় এবং পরিপাকতন্ত্রকেও ভালো রাখে।”
গনেরিওয়াল শেষে লিখেছেন, “সুইট কর্ণ সারা বছর তো পাওয়াই যায়, কিন্তু দেশি ভুট্টার সময় শুধুমাত্র বর্ষাকাল। তাই সময় নষ্ট না করে, বর্ষার আর যে কটা দিন বাকি আছে, ভালো করে ভুট্টা খেয়ে নিন।”
আরও পড়ুন: বুদ্ধি বিলোপ বা সুস্থ মস্তিষ্কের জন্য রঙিন খাবার খান