
ঠিকভাবে নিয়ম মেনে দুধ না রাখলেই দুধ নষ্ট হয়ে যায়। কাঁচা দুধ না ফুটিয়ে বেশিক্ষণ বাইরে রাখলে নষ্ট হয়ে যায়। একই ভাবে প্যাকেটের দুধ না ফুটিয়ে রাখলেও দুধ নষ্ট হয়ে যায়। আবার দুধ বেশিক্ষণ বাইরে ফেলে রাখলেও কেটে যায়। কেটে যাওয়া দুধে খুব ভাল ছানাও পড়ে না

আর ওই দুধের ছানা কাটালে তাতে এক রকম গন্ধ থাকে। আর তাই দুধ ফেলে দেওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় থাকে না। অনেক সময় দুধ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা না হলে নষ্ট হয়ে যায়। আবার কখনো কখনো দুধ গরম করার সময়ই ফেটে যায়।

দুধ কেটে গেলে জল বেরিয়ে যায়। তবে এই জল অনেক কাজেই লাগে। তবে কাটা দুধে ছানা কাটিয়ে নিন লেবু বা ভিনিগার দিয়ে। এতে দুধ থেকে অনেক ভাল ছানা থাকে। আর তাই সবথেকে ভাল যদি সুতির কাপড়ের মধ্যে ছানা দিয়ে পুরো জল ছেঁকে নিতে পারেন

এই ছানার উপর ভারী কোনও পাত্র চাপা রাখলে তার থেকে ভাল পনির তৈরি করা যায়। আবার ময়দা মাখাতেও দইযুক্ত দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এতে ময়দা নরম এবং প্রোটিনও সমৃদ্ধ হবে। এই ধরনের ময়দার রুটি খুব নরম ও রুটির স্বাদও ভালো হবে

আপনি নষ্ট হয়ে যাওয়া দুধ দিয়ে ভাত রান্না করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে দুধ থেকে জল আলাদা করে নিতে হবে। তারপর ভাত রান্না করতে এই জল ব্যবহার করতে পারেন। এতে ভাতের স্বাদ ভালো হবে। এভাবে ভাত তৈরি করলে শরীরে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনও পাওয়া যাবে

দুধের কেটে যাওয়া জল দিয়ে নুডলস এবং পাস্তা সেদ্ধ করতেও ব্যবহার করতে পারেন। এই কেটে যাওয়া জল ব্যবহার করতে পারেন সবজি রান্নাতেও। এর মধ্যে প্রোটিন বেশি থাকে যে কারণে তরকারির স্বাদও অনেক ভাল হয়

যেমন দইযুক্ত দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ল্যাকটিক অ্যাসিড থাকে। এর ব্যবহারে পেশী শক্তিশালী হয়। এই দুধে ত্বক, চুল এসব খুব ভাল থাকে।

পেটের যে কোনও সমস্যাতেও কার্যকরী এই দুধের জল। যাঁদের দুধে সমস্যা রয়েছে, পোটের কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁরৈ অবশ্যই খান, এতে খাবারের স্বাদ ভাল লাগবে আর উপকারীও