সুস্থ থাকতে সব বয়সের মানুষকেই দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। দুধের মদ্যে থাকে প্রচুর পরিমআম পুষ্টি। সেই সঙ্গে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় খনিজ, ভিটামিন সবই কিন্তু পাওয়া বযায় দুধ থেকে। হাড় ও দাঁতের গঠন মজবুত করতে ভূমিকা রয়েছে দুধের। তবে সবাই যে দুধ খেতে পারেন এমন নয়। অনেকেরই দুধে সমস্যা রয়েছে। বিকল্প হিসেবে তাঁরা সোয়া মিল্ক খান।
কেউ পছন্দ করেন ফুল ফ্যাট মিল্ক , আবার কারোর পছন্দ স্কিমড মিল্ক। সুস্বাস্থ্যের খাতিরে কোন দুধ খাওয়া উচিত তা নিয়ে নানা রকম বিতর্ক তো আছেই। এছাড়াও দুধ ফুটিয়ে খাওয়া নিয়ে এক একজনের এক এক রকম মত। যদিও খুব কম সংখ্যক লোকই মনে করেন যে দুধ না ফুটিয়ে খেলেও চলবে। কারণ তাতে নাকি দুধের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
সত্যিই কি কাঁচা দুধে পুষ্টি বেশি?
আজকাল বাজারে পাস্তুরাইজড দুধের চাহিদা বেশি। কিন্তু অনেকের মধ্যেই এই ভুল ধারণা রয়েছে যে এই দুধের কোনও পুষ্টিগুণ নেই। এই দুধের মধ্যেও কিন্তু সমপরিমাণে ক্যালশিয়াম, ফসফরাস থাকে। এমনকী গরম করলেও পাস্তুরাইজড দুধের পুষ্টিগুণ কোনও অংশে কমে যায়ব না। কাঁচা দুধ দীর্ঘক্ষণ বাইরে ফেলে রাখলে যেমন তার পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় তেমনই তাতে নানা রকম ব্যাকটেরিয়া জন্মানোর সুযোগ থাকে। এছাড়াও কাঁচা দুধের মধ্যে থাকে ভিটামিন বি৬, বি১, বি৯ এবং বি১২। থাকে ভিটামিন সি, এ, ডি, কে। যা জলে দ্রবণীয়। কিন্তু যা সরাসরি শরীর তা গ্রহণ করতে পারে না। দেখা দিতে পারে নানা শারীরিক সমস্যা।
কাঁচা দুধ খাওয়ার আদৌ কোনও সুবিধা আছে কি?
বিশেষজ্ঞরা কখনও কাঁচা দুধ খাওয়ার কথা বলেন না। তবে যাঁদের দুধে সমস্যা রয়েছে বা অন্য কোনও অসুবিধে রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা দুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। কখনই কাঁচা দুধ নয়। অ্যালার্জি কিংবা হজমের সমস্যায় ঠান্ডা দুধ ভাল কাজ করে। কাঁচা দুধ কখনই নয়। দুধ ফুটিয়ে ঠান্ডা করে রাখলে তার মধ্যে ইমিউনোগ্লোবিউলিন, আইসোজাইম, ল্যাকটোপ্যরঅক্সাইড ইত্যাদি বেশি পরিমাম থাকে। যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। আরও নানা শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্তি দেয়।
কেন কাঁচা দুধ খাবেন না
কাঁচা দুধে অনেক রকম ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর, সেই সঙ্গে শরীরের স্বাভাবিক Ph ব্যালেন্স নষ্ট করে দেয়। যে কারণে দুধের সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে গরম করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে ভিটামিন সহবজে দ্রবণীয় হয় এবং হজমের উপযোগী হয়। কাঁচা দুধের মধ্যে থাকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া সালমোনেল্লা, এসচেরিয়া, ক্যাম্পিলোব্যাকটের, ই কোলাই আর ক্রিপটোস্পোরিডিয়াম।
যার ফলে ডায়েরিয়া, বমি, ডিহাইড্রেশন, জ্বর-সহ আসতে পারে একাধিক শারীরিক সমস্যা। যে কারণে কাঁচা দুধ কখনই খাবেন না। যত দ্রুত দুধ ফুটিয়ে নিতে পারবেন ততই ভাল। বাইরে ফেলে রাখলেই কিন্তু দ্রুত তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এমনকী দুধের তৈরি কোনও খাবারও বেশিক্ষণ বাইরে ফেলে রাখবেন না। বরং দুধ ফুটিয়ে রেখে ঠান্ডা করে খান। তা শরীরের জন্য অনেকটাই উপকারী।
আরও পড়ুন: Weight Loss Diet: শীতে বাড়ে ওজন, লাঞ্চে একবাটি এই স্যুপ খেলে মেদ কমবে নিমিষে!