বৈশাখ মাস শুরু না হলেও এখনই গরমে নাজেহাল অবস্থা দক্ষিণবঙ্গে। চড়চড় করে বাড়ছে পারদ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে অস্বস্তিও। এইসময় খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রেও অনেকের ভীষণ অরুচি আসে। বিশেষ করে বাচ্চাদের কী খেতে দেবেন তাই ভেবে চিন্তায় পড়ে যান মায়েরা।
এই গরমে তাই আপনার বাড়ির বাচ্চাকে দিতে পারেন ফ্রুট কাস্টার্ড। গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখবে। পুষ্টিও জোগান দেবে এই খাবার। বিকেলের খাবার হিসেবে অনায়াসেই তাই দিতে পারেন ফ্রুট কাস্টার্ড। কেবল ছোটরা নয়, বড়দেরও পছন্দের তালিকায় থাকে এই খাবার। বাইরে থেকে বাড়ি ফিরে এখন প্রায় সময়েই ঠাণ্ডা কিছু খেতে ইচ্ছে করে। সেই সময় সামনে যদি হাজির হয় একবাটি ফ্রুট কাস্টার্ড, তাহলে সত্যিই দিল খুশ হয়ে যায়।
দেখে নিন কীভাবে তৈরি করবেন ফ্রুট কাস্টার্ড-
কী কী লাগবে?
কাস্টার্ড পাউডার (এক টেবিল স্পুন), গুঁড়ো দুধ (এক টেবিল স্পুন), কনডেনসড মিল্ক (এক টেবিল স্পুন), দুধ (হাফ লিটার), সময়ের যেকোনও ফল টুকরো করে কাটা। এক্ষেত্রে দু-তিন রকমের ফলও ব্যবহার করতে পারেন আপনি।
প্রণালী-
প্রথমে একটি পরিষ্কার কাচের বাটি নিন। তার মধ্যে কাস্টার্ড পাউডার আর গুঁড়ো দুধ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার ওই মিশ্রণ একপাশে সরিয়ে রাখুন। এরপর একটি সসপ্যানে আবার হাফ লিটার দুধ এবং এক টেবিল স্পুন কনডেনসড মিল্ক দিয়ে ভাল করে জাল দিয়ে নিন। বহুক্ষণ ধরে এই মিশ্রণ নাড়তে হবে। হাল্কা আঁচে তৈরি করতে হবে মিশ্রণ। এবার এই মিশ্রণের মধ্যে কাস্টার্ড পাউডার আর গুঁড়ো দুধের মিশ্রণ মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর সমস্ত উপাদান ভাল করে ফুটিয়ে নিতে হবে। যখন পুরো মিশ্রণ একদম ঘন হয়ে আসবে তখন গ্যাস থেকে সসপ্যান নামিয়ে নিতে হবে। আর ঠাণ্ডা করতে দিতে হবে ওই মিশ্রণ।
দুধের মিশ্রণ একদম ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন। ঘণ্টা দুই-তিন পরে বের করে ফলের টুকরো মিশিয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা ফ্রুট কাস্টার্ড।