সম্প্রতি গ্রিক সরকার ঘোষণা করেছে, আমেরিকা-সহ সব দেশের পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে গ্রিসের সমস্ত পর্যটক কেন্দ্রগুলি। করোনার জেরে সব দেশের মতোই গ্রিসেও পর্যটক শিল্পে মন্দা দেখা গিয়েছিল। ফের সেই শিল্প লাভের আশা দেখতে ও ইউরোপীয় অন্যান্য দেশগুলি থেকে এগিয়ে থাকতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সে দেশের সরকার। তবে করোনাকালে গ্রিসে যদি বেড়াতে যাওয়ার প্ল্যান করেন বা ভ্রমণ করছেন, তাহলে সে দেশের কোভিড নিয়মগুলি অবশ্যই জেনে নিতে হবে।
করোনা আবহে গ্রিসের মতো স্বর্গীয় ও সুন্দর সাজানো দেশে বেড়াতে যাওয়া মানে সত্যিই বেশ চ্যালেঞ্জের। সে দেশের প্রশাসনের বিশ্বাস ও নীতি, সামাজিক দূরত্ব, কোভিড প্রোটোকল ও গরম আবহাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পর্যটকরা নিরাপদে ভ্রমণ করতে পারবেন। প্রসঙ্গত, গ্রিসের এখনও তিন চতুর্থাংশ নাগরিকের টিকাকরণ হয়নি। দেশের সব হাসপাতালেই করোনা আক্রান্তের ভিড় লেগে রয়েছে।
প্রসঙ্গত লেভেল ৪ তালিকায় যেসব দেশ তালিকায় রয়েছে, সেইসব দেশের নাগরিকদের জন্য গ্রিসের দরজা বন্ধ রয়েছে। গ্রিসের ট্যুরিজম মন্ত্রী একটি সাক্ষাত্কারে জানিয়েছিলেন, ‘সাধারণ জায়গাগুলিতে পর্যটকদের জন্য স্বাগত। জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করার কোনও মানেই হয় না। পর্যটকদের যে কোনও সুবিধা-অসুবিধার দেখার ভার আমাদের।’
আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে গ্রিসের দরজা। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন, থাইল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, ইজরায়েল, দক্ষিণ কোরিয়া, ইউকে, আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, নিউ জিল্যান্ড, সারবিয়া ও ইউএই। কোনও রকম কোয়ারানটিন পর্ব না কাটিয়েই এই সব দেশগুলি থেকে পর্যটকরা গ্রিসে ছুটি কাটাতে পারেন বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
গ্রিস ভ্রমণের জন্য কী কী মাথায় রাখতে হবে…
১. কোভিড টিকা নেওয়া থাকলে ও পিসিআর টেস্টে যদি নেগেটিভ রিপোর্ট আসে, তাহলে গ্রিসে প্রবেশ করতে কোনও বাধা নেই।
২. কোনও পর্যটকের যদি ভ্যাকসিন না নেওয়া থাকে, তাহলে তাঁর সঙ্গে অবশ্যই থাকতে হবে কোভিড ১৯ পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ রিপোর্ট। দেশে পা দেওয়ার ৭২ ঘন্টা আগে টেস্ট রিপোর্ট সঙ্গে রাখা বাঞ্ছনীয়। সহ্গে পাঁচ বছর বা তার নীচে থাকা শিশুদেরকে এই নির্দেশিকার বাইরে রাখা হয়েছে।
৩. এথেন্স, কোরফু, হেরাকিলন, হোডস, থেসালোনিকি, সান্তোরিনি, কস, ছানিয়া ও মাইকুনুস বিমানবন্দরে পর্যটকদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে।
৪. যদি কোনও পর্যটকের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ বা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়, তাঁকে অবশ্যেই হোটেলের মধ্যে কোয়ারান্টিন পর্ব কাটাতে হবে। খাওয়া-দাওয়া ও অন্যান্য যাবতীয় খরচের ভার বহন করবে গ্রিক সরকার।