আগামী ১৪ মে শেষ রোজা পালন করে, খুশির চাঁদ দর্শন করে সকল মুসলিম সম্প্রদায় মেতে উঠবে খুশির ঈদ উত্সবে। রমজান মাসের শেষ রোজা ভাঙার পর বন্ধুবান্ধব, পরিবারের সঙ্গে একত্রিত হয়ে ঈদের উত্সবে মেতে ওঠেন। তবে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ঈদের উত্সবে ভাটা পড়তে পারে। তাই বলে মন খারাপের কিছু নেই। ২০২০ সালেও ঘরবন্দি অবস্থাতেই ঈদ পালন করা হয়েছিল। এবছরও ব্যতিক্রম নয়। বাড়িতেই পরিবারের সঙ্গে থাকুন। পরিস্থিতি বিবেচনা করে বাড়িতেই রাজকীয় ও সুস্বাদু রান্নার ব্যবস্থা করতে পারেন। এই ঈদে পাঁচটি দুরন্ত ও অত্যন্ত সহজ রেসিপির সন্ধান দেওয়া রইল এখানে। একঘন্টার কম সময়ের মধ্যেই দুর্দান্ত রেসিপিতে মন ভরাবেন আপনি। স্টার্টার, মেইন কোর্স, মিষ্টি ও একটি শরবতের রেসিপি দেওয়া রইল। দেখে নিন একঝলকে…
রোজ শরবত: যে কোনও অনুষ্ঠানে বা উত্সবে রিফ্রেশিং রোজ শরবত একটি জনপ্রিয় পানীয়। খুব সহজ ও দ্রুত তৈরি করা যায় সামান্য উপকরণ দিয়েই। কী কী লাগবে- সুগার সিরাপ, গোলাপ ফ্লেভার ও গোলাপ পাপড়ি, গোলাপ এসেন্স, দুধ।
কীভাবে করবেন- একটি পাত্রে ফ্লেভার ও গোলাপের পাপড়ি নিন। তাতে সুগার সিরাপ ভালো করে একসঙ্গে মেশান। এরপর রোজ এসেন্স ও দুধ মেশান। গুলাব শরবত তৈরি। পরিবেশনের জন্য একটি সুন্দর ২৪০ মিলিলিটার শরবতের সিরাপ নিন। তাতে ঠান্ডা জল মিশিয়ে রাখুন। ভাল করে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।মিষ্টি খেতে যদি অপছন্দ হয়, লেবুর রস যোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন- ইফতার পার্টিতে এই ২ চিকেন রেসিপিতেই মন গলবে আত্মীয়-বন্ধুদের! ট্রাই করুন আজই…
চাপালি কাবাব: ঈদ উত্সবে কাবাবের সুমিষ্ট গন্ধ থাকবে না, তা কী করে হয়! আমরা সাধারণ জানি কাবাব তৈরি করতে অনেকক্ষণ সময় লাগে, কিন্তু ঝটপট কাবাব বানাতে চাইলে মানে ৩০ মিনিটে মধ্যে সুস্বাদু কাবাব বানাতে চাইলে তৈরি করুন চাপালি কাবাব। কীভাবে করবেন দেখে নিন…
প্রথমে মটনগুলি কুচি কুচি করে কাটুন। কোর্মার করার মতো করলে আরও ভালো হয়। এবার মটনের সঙ্গে নুন ও গোল মরিচ মেশান। এরপর পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, ধনে গুঁড়ো দিয়ে ভালো করে মেশান। কাবাবের মতো আকার দিয়ে আলাদা রেখে দিন মটনটি। এবার একটি ফ্রাইপ্যান বা গ্রিল করার প্যানে অল্প তেল দিন। তাতে কাবাব গুলো দিয়ে গ্রিল করুন। ২-৩ মিনিট রাখার পর অপর পিঠ গ্রিল করুন। বাদামি রঙের হয়ে গেলে পেঁয়াজ কুঁচি, গ্রিল করা টমেটোর স্লাইস দিয়ে পরিবেশন করুন। সঙ্গে নান ও রায়তাও সার্ভ করতে পারেন।
আরও পড়ুন : রমজান স্পেশাল: জিভে জল আনা কিছু সহজ রেসিপি শিখে নিন…
রেলওয়ে মটন কারি: স্পাইসি মটন কারি না হলে ঈদের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয় না। তাই এবার পাতে পড়ুক রেলওয়ে মটন কারি। কীভাবে করবেন, দেখে নিন এখানে…
একটি প্যানে তেল গরম করতে দিন। তাতে আদা ও রসুন বাটা দিয়ে তেজপাতা, এলাচ, দারচিনি, গোল মরিচ, গোটা জিরে দিন। ভালো করে নেড়ে তাতে পেঁয়াজগুলো দিয়ে রান্না করুন। এবার সাধারণ দই ফেটিয়ে মেশান। পেঁয়াজগুলি বাদামি না হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন। মশলা থেকে তেল বেরিয়ে গেলে টমেটো কুচি দিয়ে ভালো করে কষুন। এবার মটন (২০০গ্রাম) দিয়ে দিন। সব মশলা যাতে মটনের মধ্যে যায়, তার জন্য সবটা ভাল করে কষতে থাকুন। প্রয়োজন হলে অল্প জল দিতে পারেন। মটন সেদ্ধ হলে ধনে পাতা কুচনো ছড়িয়ে দিন। সাদা ভাত, পোলাওয়ের সঙ্গে জমিয়ে পরিবেশন করুন রেলওয়ে মটন কারি।
কাশ্মীরি পোলাও: মিষ্টি, হলুদ রঙের গরম গরম পোলাও, তার উপর ছড়িয়ে রয়েছে ড্রাই ফ্রুটস। এ স্বর্গীয় স্বাদের ভাগ হবে না কখনওই।
একটি বোলে দুধ, ক্রিম, চিনি ও নুন মেশান। পোলাওয়ের জন্য ভাত হয়ে গেলে আলাদা করে রাখুন।এবার একটি প্যানে ঘি দিন। তাতে গোটা জিরে, দারচিনি, তেজপাতা, এলাচ, লবঙ্গ দিন। এরপর জল ঝরানো ভাত দিয়ে ভাল করে ঘিতে ভাজুন। এবার দুধের মিশ্রণটি দিন। প্রয়োজন হলে হাফ কাপ জল দিতে পারেন। এবার মাঝারি আঁচে আরও একটু সেদ্ধ হতে দিন। হয়ে গেলে পোলাওয়ের সঙ্গে পছন্দের ড্রাই ফ্রুটসগুলি মিশিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে নেড়ে নিন। গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে গরম গরম কাশ্মীরি পোলাও পরিবেশন করুন।
আরও পড়ুন- গরমে মন গলাতে চিনি ছাড়াই বানান মনপসন্দ আমন্ড-কাজু কুলফি!
শির খুরমা: ঈদের সময় প্রতিটি ঘরেই রান্না করা হয় সুস্বাদু সেমাই। ঈদে সেমাই দিয়ে তৈরি হয় দুর্দান্ত শির খুরমা। কীভাবে বানাবেন, দেখে নিন একবার…
একটি প্যানে মাখন বা ঘি গরম করুন। তাতে সেমাই দিয়ে সোনালি করে ভেজে নিন। এবার তাতে দুধ ও চিনি দিনয চিনি সম্পূর্ণ গলে গেলে নাড়তে থাকুন।, কম আঁচে এবার মেওয়া, খেজুর, কাজুবাদাম, কিসমিস মিশিয়ে ভাল করে ৪ মিনিট রান্না করুন। এরপর এলাচ গুঁড়ো ও গোলাপ জলের কয়েক ফোঁটা মিশিয়ে আরও ৩ মিনিট রান্না করুন। বেশ ঘন হয় এলে তাতে গরম জল মিশিয়ে হালকা নাড়তে থাকুন। রান্না হয়ে গেলে ঠান্ডা করতে দিন। গোলাপের পাপড়ি ও মেওয়া দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন।