পেট পরিষ্কার রাখতে, ডায়াবেটিসে ভুগলে মেথি ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞেরা। অনেকে ওজন কমানোর জন্যও এই পানীয়ের সাহায্য নেন। কিন্তু মেথি শুধু মেদ ঝরাতে কিংবা সুগার লেভেলকে বশে রাখতে সাহায্য করে না। এই পানীয় ত্বক ও চুলেরও দেখভাল করে। বিশেষত, চুলের হাজারো সমস্যার সমাধান রয়েছে মেথির ভেজানো জলের মধ্যে। টাকে নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে এই পানীয়। চুলের হাল ফেরাতে মেথির জল কীভাবে সাহায্য করে, দেখে নিন।
পুষ্টিতে ভরপুর
মেথির মধ্যে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ফাইবার ও বিভিন্ন ধরনের মিনারেল পাওয়া যায়, যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, যা চুলের জন্য উপকারী মেথি। যে কারণে চুলের যত্নে মেথির তেল, মেথির হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা হয়।
টক্সিন বের করে দেয়
মেথির মধ্যে ফ্ল্যাভনয়েড নামের এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। মেথির জল পান করলে শরীরে জমে থাকা সমস্ত টক্সিন বেরিয়ে যায়। এছাড়া মেথির মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কমায় খুশকি, চুল পড়ার সমস্যা।
মেথির জলে লুকিয়ে চুলের রহস্য
মেথির তৈরি হেয়ার অয়েল, হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করলে চুলের সমস্যা এড়ানো যায়। একইভাবে মেথির জল খেলেও চুলের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। মেথির জল খেলে চুল দ্রুত বৃদ্ধি হয়। স্ক্যাল্পের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। খুশকির সমস্যা থেকে মুক্তি মেলে। চুল পড়া কমে এবং রুক্ষ চুলের সমস্যা কমে। মেথি ভেজানো জল খেলে চুলের ঘনত্ব বাড়তেই থাকবে।
এভাবে বানিয়ে ফেলুন এই পানীয়
এক কাপ জলে ১ চামচ মেথি দানা সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে জলটা ছেঁকে নিন। সকালে খালি পেটে পান করুন এই মেথি ভেজানো জল। আর যে অবশিষ্ট মেথিটা থাকবে, সেটা টক দইয়ের সঙ্গে পেস্ট করে নিন। তারপর সেটা চুল ও স্ক্যাল্পে মেখে নিন। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে নিন।