যত দিন যাচ্ছে মানুষ কে-বিউটির দিকে ঝুঁকছে। কোরিয়ান মহিলাদের মতো নিখুঁত ও স্বচ্ছ ত্বক বিশ্বজুড়ে মানুষের আগ্রহ বাড়িয়ে তুলছে স্কিন কেয়ারের প্রতি। ঠিক যেমন দ্রুত হারে বাড়ছে সিরামের ব্যবহার। দাগছোপ দূর করা থেকে উজ্জ্বল ত্বক পাওয়ার রহস্য খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে সিরামের মধ্যে। টোনার ও ময়েশ্চারাইজারের মাঝে সিরাম নিজের জায়গা করে নিয়েছে। কিন্তু সিরামের সঠিক ব্যবহার অনেকেরই অজানা।
সকাল হোক বা রাত, দিনে দু’বার সিরাম ব্যবহার করাই যথেষ্ট। কিন্তু মর্নিং ও নাইট স্কিন কেয়ার, একে-অপরের থেকে একদম আলাদা হয়। কখনও ময়েশ্চারাইজারের আগে সিরাম মাখতে হয়। আবার কখনও স্কিন কেয়ারের শেষ ধাপ হল সিরাম। কোন সময় কীভাবে সিরাম মাখবেন, রইল টিপস।
মর্নিং স্কিন কেয়ারের টিপস:
স্কিন কেয়ারের প্রথম ধাপ হল ক্লিনজিং। ত্বক থেকে ধুলোবালি, তেল পরিষ্কার করা। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ক্লিনজার বেছে নিন। শুধু খেয়াল রাখুন, ত্বকের প্রাকৃতিক তেল ও পিএইচ স্তরের ভারসাম্য যেন নষ্ট না হয়। এরপর মুখে টোনার লাগিয়ে নিন। টোনার রোমকূপের মুখ পরিষ্কার করবে। পাশাপাশি ওপেন পোরসের সমস্যা দূর করবে। এবার পালা সিরামের। পরিমাণমতো ফেস সিরাম নিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। এবার এই সিরাম ত্বক সম্পূর্ণরূপে শোষণ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এমন সিরাম বেছে নিন, যা ত্বককে হাইড্রেট রাখবে। এরপর ময়েশ্চারাইজার মাখুন। ময়েশ্চারাইজার ত্বককে হাইড্রেট রাখবে এবং বাইরের আবহাওয়া ও দূষণের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। একদম শেষে সানস্ক্রিন মেখে নিন। মর্নিং স্কিন কেয়ার রুটিনে কোনওভাবেই সানস্ক্রিন বাদ দেওয়া চলবে না। ‘
নাইট স্কিন কেয়ারের টিপস:
সারাদিনের পর মুখ ধোয়া দরকার। মেকআপ, ময়লা, তেল পরিষ্কারের জন্য মুখ পরিষ্কার করুন। এক্ষেত্রে আপনি ফোমিং ফেসওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এরপর ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন। সপ্তাহে দু’বার স্ক্রাব ব্যবহার করুন। এতে ত্বকের উপরিতলে জমে থাকা মৃত কোষ পরিষ্কার হয়ে যাবে। এরপর টোনার লাগিয়ে নিন মুখে। এটি ত্বকে ফ্রেশনেস আনবে এবং ত্বককে ভাল রাখবে। এরপর মুখে সিরাম মাখুন। সিরাম মাখার পর মুখে হালকা হাতে মালিশ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন উন্নত হবে। পাশাপাশি ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে। এরপর নাইট ক্রিম মেখে নিন।